সামরিক অংশীদার হতে সংশয় ঝেড়ে ফেলল শ্রীলঙ্কা ও যুক্তরাষ্ট্র
সাউথএশিয়ান মনিটর : শ্রীলংকা ও যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত জোট না গড়লেও সামরিক অংশীদারিত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে পারস্পরিক বৈরিতা ও সংশয় ঝেড়ে ফেলছে বলে মনে হচ্ছে।
শ্রীলংকা থেকে ব্রিটিশদের চলে যেতে বলার পর শ্রীলংকা ফ্রিডম পার্টির (এসএলএফপি) সমাজবাদী ও জোট নিরপেক্ষ সরকারগুলোর সময় ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকগুলোতে একটি সামরিক শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিল। ১৯৮০-এর দশকে তামিল জঙ্গিদের তৎপরতা শুরুর আগে পর্যন্ত অবস্থা তেমনই ছিল।
ওই সময় পাশ্চাত্যপন্থী প্রেসিডেন্ট জে আর জয়বর্ধনে পাশ্চাত্যবিরোধী ভারতের সমর্থনপুষ্ট তামিল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
ইসরায়েলের কাছ থেকে শ্রীলংকা দ্রুতগামী নৌকা ও কেফির জঙ্গিবিমান কিনেছিল। ১৯৯০-এর দশকে শ্রীলংকা সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলোর কাছ থেকে বিমান ও হেলিকপ্টার কেনে। এছাড়া চীন থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সংগ্রহ করে গোলাবারুদ ও পদাতিক বাহিনীর অস্ত্র। রাজনৈতিক যুক্তিতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র কোনো ধরনের অস্ত্র বিক্রি বা প্রদান করেনি। তামিল নাড়ুর চাপে নয়া দিল্লি শ্রীলংকার সরকারি বাহিনীতে অস্ত্র দিতে চায়নি। যুক্তরাষ্ট্র ওই সময় শ্রীলংকার ব্যাপারে ভারতের নীতি অনুসরণ করছিল। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টে যায় ভারত-শ্রীলংকা চুক্তি বাস্তবায়ন করার জন্য শ্রীলংকায় যাওয়া ভারতীয় শান্তিরক্ষীদের ওপর তামিল টাইগার গেরিলারা হামলা চালাতে শুরু করলে। ১৯৮৭-১৯৯০ সময়কালের যুদ্ধে সাড়ে তিন হাজার ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়।
শ্রীলংকায় ভারত অস্ত্র সরবরাহ না করলেও তাদের সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে লংকান সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেয়, রাডার সরবরাহ করে। দৃশ্যপটে যুক্তরাষ্ট্রের আগমন ঘটে আরো পরে। তা ঘটে ২০০২ সালে যুদ্ধবিরতি ও শান্তিপ্রক্রিয়া শুরুর পর। শান্তিপন্থী, পাশ্চাত্যপন্থী।
, ভারতপন্থী সরকারের নেতৃত্ব দিতে ২০০২ সালে ক্ষমতায় আসেন রনিল বিক্রমাসিঙ্গে।
যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার জন্য ভারত তার সাবেক উপ সেনাপ্রধান লে. জেনারেল সতিশ নাম্বিয়ারকে পাঠায়। আর শ্রীলংকার সামরিক বাহিনীর তিনটি শাখাকে পরামর্শ দিতে একটি মার্কিন প্যাসিফিক টিম যায় দেশটিতে।
যুদ্ধবিরতি ভেঙে গেলে এলটিটিইকে মোকাবিলা করতে শ্রীলংকা সশস্ত্র বাহিনীর সামর্থ্য কেমন হওয়া উচিত তা যাচাই করার জন্য ২০০২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ অক্টোবর মার্কিন দলটি শ্রীলংকার সশস্ত্র বাহিনীর ওপর একটি সমীক্ষা চালায়। তারা শ্রীলংকা সামরিক বাহিনীকে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের সুপারিশ করে। বিমান ও নৌবাহিনীর জন্যও কিছু সুপারিশ করে মার্কিন দলটি।
এসময় সামরিক প্রশিক্ষণ, সামরিক প্রযুক্তি, গোয়েন্দা তথ্য ইত্যাদি নিয়ে একটি চুক্তি হয়। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ