ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজের ব্যাপক ক্ষতি
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : অতিরিক্ত বৃষ্টিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। লাভের পরিবর্তে এখন লোকসান গুণতে হচ্ছে কৃষকদের। গত কয়েক বছর লাভের পর এবারই মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে দেয়া হচ্ছে নানা নির্দেশনা। এছাড়া বাজার মূল্য ভাল হওয়ায় কৃষকরা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা। ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাষ। জেলা সদরসহ কসবা ও বিজয়নগর উপজেলায় গত কয়েক বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে এ তরমুজের চাষ হয়ে আসছে। সাধারণত মার্চ মাসে গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাষ হয়। এ বছর জেলায় ৫৫ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। বিস্তীর্ণ জমিতে শোভা পাচ্ছিল হলুদ ও সবুজ রংয়ের তরমুজ। বিশেষ করে হলুদ রংয়ের তরমুজ ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে বেশি। বিভিন্নস্থান থেকে পাইকার ও সাধারণ ক্রেতারা ভিন্নধর্মী এ তরমুজ কিনতে ভিড় করছে। রমজান মাস হওয়ায় ব্যাপকভাবে বেড়েছে এসব তরমুজের চাহিদা।
প্রতিটি তরমুজ ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তরমুজগুলোর দাম আয়ত্বের মধ্যে থাকায় ক্রেতাদের মাঝেও এ তরমুজের ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিদিন জেলা ও জেলার বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে ক্রেতার এসব তরমুজ নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এ বছর ফলন ভাল হলেও অতিবৃষ্টির কারণে তরমুজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে বেশিরভাগ তরমুজই পচে ও গলে গেছে। এতে বিঘা প্রতি জমিতে চাষীদের ৪০/৪৫ হাজার টাকা লোকসানের গুণতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, আবু নাছের জানিয়েছেন, এবার অতি বর্ষণে তরমুজ চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের পরামর্শ দেয়া হয়েছে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে।