১১ মাসে রপ্তানি আয় ৩৪শ’ কোটি ডলার
জাফর আহমদ: বর্তমান অর্থ বছরের জুলাই-মে ১১ মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৩ দশমিক ৭২৮ বিলিয়ন ডলার যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। মোট এ রপ্তানি আয়ের ৮৩ শতাংশ আয় এসেছে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ১১ মাসের রপ্তানি আয় হয়েছিল ৩১ দশমিক ৬২২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, বাংলাদেশ (ইপিবি) প্রতিবেদনের এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
ইপিবি তথ্য অনুযায়ী ১১ মাসে ২৮ দশমিক ১২৮ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। ১১ মাসে তৈরি পোশাক লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ২৪৬ বিলিয়ন ডলার। গতবছর একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ২৫ দশমিক ৬২৪ বিলিয়ন ডলারের। বিশ্বকাপ খেলায় জার্সির ব্যবহার ও ইউরোপের মন্দা কাটিয়ে ওঠার কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে বলে মনে করেন নীট তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তা নেতা মুহাম্মদ হাতেম। তিনি বলেন, ফুটবল দলের সমার্থকরা গ্যালারি ও গ্যালারির বাইরে জার্সি ব্যবহার করবে। এ জার্সি জোগান দিতে বিদেশি বায়াররা অতিরিক্ত এক বিলিয়ন ডলারের কার্যাদেশ দিয়েছে। বিশেষ করে নীট তৈরি পোশাকে এ কার্যাদেশ পাওয়া গেছে। এ কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া ইউরোপে মন্দা কাটিয়ে ওঠার কারণে সেখানকার মানুষ কেনাকাটার হার বাড়িয়েছে। দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির পেঠনে এটাও কাজ করছে বলে মনে করেন এই উদ্যোক্তা।
ইপিবির-এর তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তুলনামূলক বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে নীট গার্মেন্টস রপ্তানিতে। ১১ মাসে ১৩ দশমিক ৬৪১ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ১৩ ধমিক ৯৪০ বিলিয়ন ডলারের নীট গার্মেন্ট। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১১ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি। অন্য দিকে ওভেন গার্মেন্ট রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। দেশের এক সময়ের প্রধান রপ্তানিপণ্য ও বর্তমানে দ্বিতীয় প্রধান রপ্তানিপণ্য পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৯৬১ মিলিয়ন ডলারের। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৯৯ শতাাংশ। আগের বছরের একই সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ৯০৩ মিলিয়ন ডলারের। কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৬০৯ মিলিয়ন ডলারের। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ ধমিক শুন্য ৯ শতাংশ।