পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নামে তোলা হচ্ছে চাঁদা
ইসমাঈল হুসাইন ইমু: আগামী ঈদকে টার্গেট করে রাজধানীর ফুটপাতের হকারদের কাছ থেকে নতুনভাবে চাঁদা তোলা হচ্ছে। আর এ চাঁদার ভাগ ক্ষমতাসীন দলের নেতা, পুলিশ ও পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীরাও পাচ্ছে। রাজধানীর ফার্মগেট গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম, গাউছিয়া, নিউমার্কেট, মতিঝিল, মিরপুর ১ ও ১০ নম্বর ফুটপাত নিয়ন্ত্রণকারি ও হকার সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, মিরপুর এলাকায় চাঁদাবাজি হয় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ বিদেশে পলাতক শাহাদতের নামে। তেজগাঁওয়ে সন্ত্রাসী আশিক, পুরান ঢাকায় ‘ডাকাত শহীদের’ সহযোগী মতিন চাঁদাবাজি করে। রমনা, শাহবাগ ও মতিঝিলে চাঁদাবাজি হয় বিদেশে পলাতক আরেক সন্ত্রাসীর নামে। আর গুলিস্তানে হচ্ছে ওয়ারি থানা আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতার নামে। বারডেম হাসপাতালের আশপাশে ও ওভারব্রীজে হকারদের কাছ থেকে আগে চাঁদা তোলার অভিযোগ নতুন নয়।
জানা গেছে, গত ১ জুন থেকে রাজধানীর বিভিন্ন ফুটপাত থেকে অতিরিক্ত চাঁদাদাবির ঘটনা ঘটছে। নিয়মিত চাঁদার বাইরে ঈদ উপলক্ষে এসব চাঁদাদাবি করছে চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট। মিরপুর ১০ নম্বর এলাকার একজন হকার বলেন, আমরা ফুটপাতে বসি বলে নিয়মিত চাঁদা দেই। রাজনীতিক, পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের লাইনম্যানরা পালা করে আমাদের কাছ থেকে প্রতিদিন নগদ অর্থ আদায় করে। এটা সহনীয় ছিল। কিন্তু এখন ঈদ উপলক্ষে তারাই এখন দ্বিগুন, তিনগুন অর্থ দাবি করছে।
গুলিস্তান এলাকার হকার আবদুল মজিদ বলেন, টুকরী প্রতি বাড়িয়েছে ১০০ টাকা, আর ছালা প্রতি দেড়শ টাকা। ওয়ারি থানার ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ এরপর পৃষ্ঠা ৭, কলাম
(শেষ পৃষ্ঠার পর) নেতারা এসব চাঁদা আদায় করে। এছাড়া লাইনম্যানরাও নিয়মিত চাঁদা তোলে। ফার্মগেট, শাহবাগ, নিউমার্কেট, মিরপুর রোড, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ১, ২ ও ১০ নম্বর, বায়তুল মোকাররম, পল্টন, গুলিস্তান, মতিঝিল, মৌচাক এলাকার ফুটপাতে ব্যবসা জমজমাট বলে এসব এলাকায় চাঁদার হারও বেশি।
অপরদিকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন সড়কের ফুটপাতে রমজান মাসের শুরু থেকে সন্ধ্যায় বসছে জুতার দোকান। সেখানকার হকার ফরিদ হোসেন বলেন, ঈদে চাঁদা একটু বেশি দিতে হচ্ছে। এক লাখ টাকা দিয়ে পজিশন কিনেছি। পুলিশরে দিনে দেই ১০০ টাকা। গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজার এলাকা থেকে সুন্দরবন স্কয়ার পর্যন্ত ফুটপাতের হকারদের কাছ থেকে স্থানীয় যুবলীগের এক নেতার নামে এখন দৈনিক ১০০ থেকে ২০০ টাকা চাঁদা তোলেন ছয়জন ফুট লিডার। বায়তুল মোকাররমের আশপাশের ফুটপাতের হকারদের কাছ থেকে মিতালী সমিতির নামে চাঁদা আদায় করা হয়।