নতুন দুই দলের নিবন্ধনের জন্য ইসির সভায় সুপারিশ
সাইদ রিপন: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন দুই দলের নিবন্ধনের জন্য কমিশন কমিশন সভায় সুপারিশ করা হয়েছে। নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা নতুন দলগুলোর মধ্য থেকে দুইটি দলের মাঠপর্যায়ে খোঁজ নেবে ইসি। বাকি দলগুলোর আবেদন বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়ার বিষয়ে দলগুলোকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। গতকাল আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, বাংলাদেশ কংগ্রেস ও গণআজাদী লীগ এ দল দুটিকে নিবন্ধনের জন্য কমিশনে সুপারিশ করা হয়েছে। এখন তাদের কাগজপত্রের সঙ্গে মাঠপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে মিল পেলে নিবন্ধন দেয়া হবে। জানা যায়, ৩০ অক্টোবর নতুন দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ইসি। আবেদনের শেষদিন ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৫টি দল রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার জন্য আবেদন করে। আবেদনের প্রেক্ষিতে ইসি কর্তৃক নিবন্ধনের শর্ত অনুযায়ী দলগুলোর সঠিক কাগজপত্র/ দলিলাদী যাচাই-বাছাই করে। এর প্রেক্ষিতে ইতোপূর্বে সঠিক কাগজপত্র ইসির নিকট উপস্থাপন করতে না পারায় পর্যায়ক্রমে ২৮টি দলকে নিবন্ধন না করার বিষয়ে দলের চেয়ারম্যান/সভাপতিকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে ইসি। অবশিষ্ট ৪৭টি দলের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৪৫টি দলকে নিবন্ধন না করার সিদ্ধান্ত হয়। বাকি দুটি বাংলাদেশ কংগ্রেস ও গণআজাদী লীগ অনুমোদনের জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে এদের যে অফিস থাকার কথা সেগুলো আছে কি না, এর সঙ্গে ভোটারদের সমর্থনের তালিকা যুক্ত করতে হয় সেটির খোঁজ নেওয়াÑ এসব বিষয়ে মাঠপর্যায়ে খোঁজ নেয়া হবে। খোঁজ নেওয়ার পর কমিশন সন্তুষ্ট হলে এদের নিবন্ধন দেওয়া হবে।
ইসি সূত্র জানায়, এর আগে দশম সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগ্রহী নতুন ৪৩টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। এর মধ্যে ৪১টি দলই নির্বাচন কমিশনের কাছে নিজেদের ‘যোগ্যতার’ প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়। মাত্র দুটি দল শর্ত অনুযায়ী মাঠপর্যায়ে কার্যালয় ও কমিটি থাকার তথ্য দিয়েছিল। এরপর তাদের নিবন্ধন দেয় কমিশন। দল দুটি হলো, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রথা চালু করে ইসি। প্রথম বছরে ১১৭টি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ৩৯টি দল নিবন্ধন পায়। এর মধ্যে স্থায়ী সংশোধিত গঠনতন্ত্র দিতে না পারায় ২০০৯ সালে ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধন বাতিল করে ইসি। আর আদালতের আদেশে ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ হয়। এছাড়া, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) নামে নতুন একটি দলের নিবন্ধন দেয়া হয়। বর্তমানে ইসির নিবন্ধনে ৪০টি রাজনৈতিক দল রয়েছে।