‘ব্যাংকিং খাতের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া উচিত’
আশিক রহমান: ব্যাংকিং খাতের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া উচিত বলে মনে করেন সিপিডির ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান। আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি। সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার যে কথা বলেছে এফবিসিসিআই তা খুবই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। এফবিসিসিআই বলছে, মুষ্টিমেয় স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে ব্যাংকিং খাতে যে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে তা আমাদের নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বিষয়টি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় নিয়ে উচিত। সিপিডিও একই মতপোষণ করে। এফবিসিসিআইকে সমর্থন করছে। তিনি আরও বলেন, ব্যাংকিং খাতের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী দুর্নীতিবাজ, ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে সরকারের নীতিমালায় ইতিবাচক কিছু দেখিনি। বরং পরিচালকদের তাদের মেয়াদকাল ছয় থেকে নয় বছরের সিগন্যালও আমরা দেখেছি। এক পরিবার থেকে দুজন পরিচালকের পরিবর্তে চারজন করার ব্যবস্থা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাজেটে ব্যাংক খাতকে কর রেয়াত দেওয়া হয়েছে আড়াই শতাংশ। ব্যাংকিং খাতের বিশৃঙ্খলা রোধে যে ধরনের শক্ত সিগন্যাল সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া দরকার ছিল সেটা দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, বাজেটে ব্যাংকিং সেক্টরের জন্য করপোরেট ট্যাক্স কমানোর মতো এমন একটি পদক্ষেপ নেওয়া হলো একটি বিশেষ খাতকে সুবিধা দেওয়ার জন্য। এ পদক্ষেপের সঙ্গে যারা নাকি বেশি ঋণ খেলাপি, যাদের নিয়ে তদন্ত হচ্ছে সেগুলোর সঙ্গে এটা সম্পৃক্ত না করে ঢালাওভাবে একটা সুবিধা দেওয়া হলো। এতে ব্যাংকিং খাতের তারল্য বাড়বে, নাকি কুঋণ আরও বেশি করবে সেটারও কোনো কথা বলা হলো না বাজেটে। করপোরেট ট্যাক্স কমানোর ফলে তারল্য বাড়বে বা সুদের উপর ইতিবাচক ফল দেখা যাবে কিনা জানি না।