‘বিএনপি নেতাকর্মিদের ধরপাকড় ও হয়রানি কাম্য নয়’
মুহাম্মদ নাঈম: হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সব দল সমান সুযোগ-সুবিধা পাবে। কোনো দলের নেতাকর্মীদের ধরপাকড় ও হয়রানি করা যাবে না। কোর্টের আদেশটা এক জায়গায় দেয়, অন্য জায়গায় তা বিলুপ্ত হয়ে যায়। নির্বাচনটা একটা টানা হেঁচড়ার মধ্যে যাচ্ছে। একবার সিডিউল হয়, আবার স্থগিত হয়েছে। নতুন করে শুরু হওয়ার আগে ৩-৪ দিন বাকি তার আগে আবার ধরপাকড় শুরু করা, এটা ভাল কাজ হচ্ছে বলে মনে হয় না। আমাদের অর্থনীতির সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ।
ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, এটা সাধারণ মানুষের কিছু বলার কথা নয় বরং নির্বাচন কমিশনের বলার কথা। বিরোধী দলের সদস্য সচিব এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটি লোকদের ধরপাকড় করা ঠিক না। ৩-৪ দিন আগে ধরপাকড় ও হয়রানি করা নির্বাচনের জন্য ভাল পথক্ষেপ হবে না।
তিনি বলেন, বিএনপির অভিযোগ ছিল, বুধবার রাত থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। দলটির পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের হয়রানি বন্ধে গত বৃহস্পতিবার সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। বিএনপি তারা তাদের কাজ করেছেন, বাকি কাজটা হলো নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), এটার উপর কি প্রতিক্রিয়া দেয় সেটা আমাদের দেখতে হবে । বিএনপির নেতাকর্মীদের ধরপাকড়-হয়রানি বন্ধের উপর সিইসি মন্তব্য থাকা জরুরি। কমিশন সব দলকে সমান সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। প্রশাসনের কর্তব্যরত ব্যক্তিরাও জানিয়েছিলেন, কোনো দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হবে না।