ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে গ্রেনেড হামলা, আহত শতাধিক
ইমরুল শাহেদ : ইথিওপিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ গ্রেনেড হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন। শনিবার রাজধানী আদ্দিস আবাবার মেস্কেল স্কোয়ারে যখন তিনি এক জনসমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন তখন গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটলে অনেক মানুষ আহত হয়। কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সমাবেশ স্থলে হাজার হাজার লোক জড়ো হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের বর্তমান বয়স ৪১ বছর। তিনি গত এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর গার্ডরা আবিকে সরিয়ে নিয়ে যান। অপর একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, গ্রেনেড বিস্ফোরণের আগে হামলাকারীকে পুলিশ ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। প্রধানমন্ত্রীর স্টাফ প্রধান বলেছেন, হামলায় ৮৩ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয় জনের অবস্থা আশংকাজনক। কিন্তু একজনও মারা যাননি। আগের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছিল যে, হামলায় কয়েকজন নিহত হয়েছেন। একজন উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, আহতের সংখ্যা শতাধিক। এই ঘটনার পরপরই জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে আবি বলেছেন, যারা ইথিওপিয়ার ঐক্য চান না সে শক্তিই এই হামলা চালিয়েছে। জনসমাবেশে আবি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেছেন, তিনি সরকারে স্বচ্ছতা আনতে চান এবং বছরের পর বছর বিক্ষোভে বিধ্বস্ত হওয়া দেশটিকে গড়ে তুলতে চান। টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার সময় দেখা গেছে তার পরণে ছিল টি-শার্ট। এটি তাকে দিয়েছেন সমাবেশের আয়োজকরা। সীমান্ত নিয়ে ইরিত্রিয়ার সঙ্গে ইথোপিয়ার একটা বিরোধ চলে আসছে। আবি এর নিষ্পত্তি করে ফেলতে চান। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। হেইলিমারিয়ম দেশালেশনের পর আবি ক্ষমতা গ্রহণ করেন। ২০১৫ সালে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর হেইলিমারিয়ম পদত্যাগ করেন। দেশটির অস্থিতিশীলতা দমনের জন্য সাময়িকভাবে জরুরি আইন জারি করা হয়েছিল এবং এই মাসেই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আবি ইতোমধ্যে গোটা দেশ ঘুরেছেন এবং দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনেছেন। তাদের রাজনৈতিক এবং নাগরিক অধিকারের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। শনিবারের এই বিস্ফোরণের পর প্রধানমন্ত্রীর স্টাফ প্রধান টুইটারে লিখেছেন, ‘যারা অন্তরে ঘৃণা পুষে রেখেছেন তারাই এই হামলা চালিয়েছেন।’ রয়টার্স