ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র ‘২+২ সংলাপ’ ৬ জুলাই
সাউথ এশিয়ান মনিটর: উভয় দেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল আর পম্পেই ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস ওয়াশিংটনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সিতারামনকে স্বাগত জানাবেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সংলাপে ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত যৌথভাবে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার প্রেক্ষাপটে কৌশলগত, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করার ওপর জোর দেওয়া’ হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ২০১৭ সালের জুনে ওয়াশিংটন সফরের সময় নতুন সংলাপের এই ফরম্যাটের ব্যাপারে দুই দেশ একমত হয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, দুই দেশ তাদের কৌশলগত ও নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার করা; পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে মত বিনিময় করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েকটি কৌশলগত ও বাণিজ্য ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেওয়ার প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সংলাপে অংশ নেওয়া ভারতীয়দের আবারো আশ্বস্ত করতে চেষ্টা করবে যে তারা মার্কিন আইনে থাকা রুশবিরোধী তৃতীয় পক্ষের ওপর অবরোধ থেকে ভারতকে রক্ষা করবেন। তবে কিভাবে তা হবে তা এখনো অস্পষ্ট রয়ে গেছে। তবে সংলাপে এটিই হবে প্রধান বিষয়।
রাজনৈতিক-সামরিক বিষয়ক মুখ্য উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিনা কাইদানাউ সম্প্রতি ভারত সফরকালে অবরোধ আরোপ হতে পারে এমন বিষয় থেকে সরে থাকার অনুরোধ করেছিলেন। রাশিয়ার সাথে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা হ্রাস করার জন্য ভারতকে অনুরোধ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
দুই দেশের মধ্যে কমিউনিকেশন্স, কম্পেটিবিলিটি, সিকিউরিটি এগ্রিমেন্ট (সিওএমসিএএসএ) প্রশ্নে আলোচনায় অগ্রগতির ওপর নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ভারতের গার্ডিয়ান অ্যাভেঞ্জার আমর্ড ড্রোন কেনার বিষয়টি। উভয় দেশ ভারত-নির্দিষ্ট চুক্তি নিয়ে নোট বিনিময় করছে বলে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। আর বিভিন্ন দেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট চুক্তিগুলো খতিয়ে দেখছে ভারত।