সৌদির অর্থ না পাওয়ায় সরকারি অর্থায়নে ৫৬০ মডেল মসজিদ নির্মাণে উদ্যোগ
সাইদ রিপন: মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পে কথা দিয়ে কথা রাখেনি সৌদি আরব। এর ফলে প্রতি জেলা ও উপজেলায় ১টি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পটি প্রথম সংশোধন করা হচ্ছে। প্রকল্পটি অনুমোদনের প্রায় এক বছর পরেও সৌদি সরকারের সাহায্য নিশ্চিত না হওয়ায় এটি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সংশোধনীতে বলা হয়েছে সৌদি সরকারের অর্থায়ন না পাওয়ায় বর্তমানে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে করা হবে। সংশোধনীতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার ৭২২ কোটি টাকা। যেখানে মূল প্রকল্প ব্যয় ছিলো নয় হাজার ৬২ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে পাওয়ার কথা ছিলো আট হাজার ১৬৯ কোটি টাকা। আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি সংশোধনীর জন্য উপস্থাপন করা হবে। সংশোধনীর পর এপ্রিল ২০১৭ থেকে ডিসেম্বর ২০২০ সালে এটি বাস্তবায়ন করবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতি প্রসারে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ করা সরকারের বিশেষ লক্ষ্য। সরকার চায় মসজিদগুলো ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। মসজিদগুলোতে নারী-পুরুষের আলাদা অজু করা ও নামাজ পড়ার ব্যবস্থা থাকবে। থাকবে গ্রন্থাগার, সম্মেলন কক্ষ ও গবেষণা কেন্দ্র। থাকবে শিশুদের জন্য শিক্ষা সুবিধা। অতিথিশালা ও বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ সুবিধাও। মৃতদেহ গোসল করানো এবং হজযাত্রী ও ইমামদের প্রশিক্ষণের সুবিধাও থাকবে মসজিদগুলোতে। প্রতিটি মসজিদ হবে একই মডেলের। ৫ বা ৬তলা বিশিষ্ট এই মডেল মসজিদের জন্য জায়গা লাগবে প্রায় ৪০ শতক। অধিকাংশ উপজেলায় বর্তমানে যেখানে ছোট মসজিদ রয়েছে, কিন্তু জরাজীর্ণ এমন জায়গায় এ মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হবে। কোনো কোনো উপজেলায় উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতরের খালি জায়গায় করা হবে মসজিদগুলো।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য বলেছেন, দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন কোন মসজিদ বা ইসলামী স্থাপনা বিদ্যমান নেই। এ প্রকল্পের আওতায় ইসলামী মূল্যবোধের উন্নয়ন এবং ইসলামী সংস্কৃতি বিকাশের উদ্দেশ্যে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে ইসলামিক জ্ঞান ও সংস্কৃতি সম্প্রসারিত হবে।