এম এ রাশেদ: রাত পোহালেই শিরোপার লড়াই। রোববার মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়া। শক্তি ও ফুটবল ঐতিহ্যে শিরোপার দাবিদার হিসাবে এগিয়ে ফরাসিরাই। তবে ফুটবল ঐতিহ্যে পিছিয়ে থাকলেও বিশ্বকাপের একটি পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকছে ক্রোয়াটরাই। কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে প্রতি ২০ বছরে নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দেখেছে বিশ্ব।
এবারের বিশ্বকাপে ফেভারিট দলগুলোর মধ্যে ফ্রান্স ছিল অন্যতম। অন্য ফেভারিটরা একে একে বিদায় নিলেও পগবা-এমবাপে-গ্রিজমানে গড়া লা ব্লুজরা ঠিকই পৌঁছে গেছে ফাইনালে। ১৯৯৮ সালের পর আরেকটি ফরাসি বিপ্লবের সফল সমাপ্তি ঘটাতে প্রস্তুত দলটি। অন্যদিকে ১৯৯৮ সালে প্রথম বিশ্বকাপে অংশ নেয় ক্রোয়েশিয়া। সে বছরই চমক দেখিয়ে দলটি শেষ চারে পৌঁছে। এবারও সেরকম চমক দেখিয়েই ফাইনালে উঠেছে মদ্রিচরা। হার না মানা মানসিকতার এ দলটি এবার বিশ্বকাপ জিতে নিজেদের শক্তি জানান দিতে চায়। এ ক্ষেত্রে একটি পরিসংখ্যান আছে তাদের পক্ষে।
১৯৩৮ সালের পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১২ বছর অনুষ্ঠিত হয়নি বিশ্বকাপ ফুটবল। যুদ্ধ শেষ হলে ১৯৫০ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম আসরে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় উরুগুয়ে। তারপর ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল। মানে তৃতীয় আসরের ঠিক ২০ বছর পর সেবার নতুন চ্যাম্পিয়ন পায় বিশ্ব। তার ২০ বছর পর ১৯৭৮ সালে বিশ্ব দেখে আরেক নতুন চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে। এর ঠিক ২০ বছর পর ১৯৯৮ সালে ফরাসিরা নতুন চ্যাম্পিয়ন হিসাবে বিশ্বের বুকে আবির্ভূত হয়। সে হিসাবে এবারও নতুন কোন দেশ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার গাণিতিক সম্ভাবনা প্রবল।
যদিও এই পরিসংখ্যানের বাইরেও শিরোপা জিতেছে দুইটি নতুন দেশ। ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ড ও ২০১০ সালে স্পেন শিরোপা জিতেছিল। কিন্তু ২০ বছরের মাথায় নতুন চ্যাম্পিয়ন ধারাবাহিকভাবে ঠিকই এসেছে। সেই বিবেচনায় নতুন চ্যাম্পিয়নদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিতেই পারে বিশ্ব।