চুড়ান্ত প্রতিবেদন আগষ্টে এমআরটি লাইন-১ এর প্রাথমিক সমীক্ষা শেষ
শাকিল আহমেদ: ব্যস্ত নগরী ঢাকার যানজট কমাতে বর্তমান সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম মেট্রোরেল প্রকল্প। ২০১৬ থেকে মেট্রোরেল লাইন-৬-এর কাজ শুরু করেছে সরকার। এছাড়া লাইন-১-এর প্রাথমিক সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। আগামী (আগষ্টে) মাসে এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে বলে জানান ঢাকা পরিবহন সমন্বয় সংস্থা (ডিটিসিএ)-এর পরিবহন প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন তরফদার।
সংশোধিত এসটিপিতে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ নির্মাণের পরে এমআরটি লাইন-১ অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসাবে চিহ্নিত আছে। সংশোধিত এসটিপি অনুযায়ী প্রকল্পটি ২০২৫ এর মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পের জন্য প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ইয়েন। ডিটিসিএ সূত্রে জানা যায়, এমআরটি লাইন ১ নির্মাণের লক্ষ্যে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে বিস্তারিত সমীক্ষা সংক্রান্ত চূড়ান্ত প্রতিবেদনের খসড়া ২০১৭-এর অক্টোবরে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক জমা দেয়া হয়েছে। এতে সম্ভাব্য এলাইনমেন্ট, ষ্টেশনসমূহ এবং ভূ-গর্ভস্থ লাইন নির্মাণের সম্ভাব্যতা ইত্যাদি উল্লেখ করা হয়েছে। শিগগিরই এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে। এমআরটি লাইন-১-এর ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসে অর্থায়নের গত ২৯ জুন ২০১৭ তারিখে জাইকার সাথে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এমআরটি লাইন-১-এর ডিটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইনের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের লক্ষ্যে (ইওআই) মূল্যায়ন শেষে (আরএফপি) ইস্যু প্রক্রিয়াধীন আছে।
এমআরটি লাইন-১-এর দৈর্ঘ্য ২৬.৬ কিলোমিটার। এই লাইনের রুট ও প্রস্তাবিত স্টেশনগুলো হলো- কমলাপুর, রাজারবাগ, মালিবাগ, রামপুরা, হাতিরঝিল, বাড্ডা, উত্তরা, নতুন বাজার, যমুনা ফিউচার পার্ক, খিলক্ষেত, বিমানবন্দর, বসুন্ধরা, মাস্তুল, পূর্বাচল পশ্চিম, পূর্বাচল সেন্টার, ও পূর্বাচল টার্মিনাল। এ ছাড়া নগর এলাকাতে প্রথমবারের মতো বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৬.৪ কিলোমিটার মাটির নিচ দিয়ে (আন্ডার গ্রাউন্ড) চলবে মেট্রোরেল। বসুন্ধরা থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত ১০.২ কিলোমিটার হবে এলিভেটেড সেকশন।
এ বিষয়ে ডিটিসিএ’র ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ার (উপ-সচিব) আনিসুর রহমার বলেন, মেট্রোরেল লাইন-১ প্রাথমিক মাটি পরীক্ষা, এলাইনমেন্ট, স্টেশনগুলো এবং ভূ-গর্ভস্থ লাইন নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী মাসে এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হতে পারে। এছাড়া এমআরটি লাইন-৫ এর দক্ষিণ অংশের সমীক্ষার কাজও চলমান রয়েছে। সম্পাদনা: মোহাম্মদ রকিব হোসেন