দ্বিতীয় দফায় নোটিশেও দুদকে হাজির হননি মিজান
তরিকুল ইসলাম সুমন: অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) কমান্ড্যান্ট মিজানুর রহমানকে দুই দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও হাজির হননি। তার বিরুদ্ধে নকল সারের কারখানা পরিচালনা এবং নিজের বাড়ি নির্মাণে পুলিশের ৬০ জন সদস্যকে কাজে লাগানোর অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ সম্পর্কে বক্তব্য দিতে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে গত ২৯ মে প্রথম দফায় ও ১৮ জুলাই দ্বিতীয় দফায় হাজির হতে পৃথক চিঠি দেওয়া হয়েছিল। দুদকের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
দুদক সূত্র জানায়, প্রথম দফায় ওমরাহ হজ করতে সৌদি যাবেন এমন অজুহাতে হাজির হননি তিনি। তবে দ্বিতীয় দফায় আজ আবার সকাল ১০টায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। এবারও তিনি হাজির হননি। শুধু তাই নয় কেন হাজির হতে পারেননি সে সম্পর্কে চিঠি দিয়েও জানাননি মিজানুর রহমান।
দুদকের সহকারি পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ অভিযোগগুলো অনুসন্ধান করছেন। মিজানুর রহমানের ঠিকানায় চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি তাকে দুদকে হাজির করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছিল।
অভিযোগের বিষয়ে দুদক জানায়, সাভারের হেমায়েতপুরের আলীপুর ব্রিজ সংলগ্ন ৮৪ শতাংশ জমির উপর বাড়ি তৈরি ও ঢাকার মিরপুরের মাজার রোডের আলমাস টাওয়ারের পাশে আরো একটি বাড়ি নির্মাণে যোগালী ও শ্রমিক হিসেবে পুলিশের ৬০ জন সদস্যকে রাজমিস্ত্রীর সহকারি বা যোগালীর কাজ করানোর অভিযোগ ওঠে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালে বিষয়টি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়ে উপ-পরিচালক এস এম মফিদুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয় দুদক। এরপর অনুসন্ধানে মিজানের বিরুদ্ধে নকল সার কারখানা পরিচালনার অভিযোগও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।