১১ কোটি টাকার জমির দলিল জালিয়াতির অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেফতার
সুজন কৈরী: জাল দলিল তৈরি করে স্থাবর সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার চেয়ারম্যান রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
গতকাল বুধবার সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ সুপার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা জানান, মো. আব্দুল হাকিম নামের লন্ডন প্রবাসী সাভারের আশুলিয়া থানার পূর্ব নরসিংহপুরস্থ মৌজার ১৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি অপর একজন মো. আব্দুল হাকিম নামের জমির মালিক সাজিয়ে রুহুল আমিনের নামে গত ১ মার্চ জাল দলিল করা হয়। ওই দলিলে জমির দর মোট ১১ কোটি টাকা ধার্য হয়। কিন্তু জমির প্রকৃত মালিক লন্ডন প্রবাসী আব্দুল হাকিম। তিনি গত ২০০১ সালে জমিটি ক্রয় করেছেন।
এরপর গত ২৮ এপ্রিল আশুলিয়া এসিল্যান্ড অফিস থেকে জমির প্রকৃত মালিক একটি নোটিশ পান। ওই নোটিশের ভিত্তিতেই জানতে পারেন যে, জনৈক রুহুল আমিন তার জমির নামজারি বা জমা খারিজের জন্য আবেদন করেছেন। এরপর তিনি আশুলিয়া এসিল্যান্ড কার্যালয়ে যোগাযোগ করে জানতে পারেন যে, রুহুল আমিন মোট ৪টি দলিলের জাল দলিল তৈরী করে সম্পত্তির মালিকানা দাবি করেছেন। এই বিষয়টি মো. আব্দুল হাকিম অবগত হয়ে গত ২৫ মে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা (নম্বর-৮২) দায়ের করেন। পরে মামলাটির তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এরই প্রেক্ষিতে পরে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের সিরিয়াস ক্রাইম স্কোয়ার্ড শাখার একটি টিম বুধবার রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করে।
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ উল্ল্যা আরো জানান, রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েষ্টিনে বসে দলিল ও জমি ক্রয়-বিক্রয় করার চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে। তাছাড়া, উক্ত জাল দলিলটি রেজেষ্ট্রি অফিসে নথিভুক্ত করা হয়নি। আর এই জালিয়াত চক্রের কয়েকজন সদস্যকে সনাক্ত করা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে গ্রেফতারকৃত রুহুল আমিন বলেন, তিনি বিদ্যুৎ নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে উক্ত জমির দলিলপত্র দেখেই প্রকৃত জমির মালিক মো. আব্দুল হাকিমের কাছ থেকেই জমিটি ক্রয় করেছেন। আর প্রকৃত জমির মালিকের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন মনে করেই তিনি নাম জারি করতে আবেদন করেছিলেন। তিনি এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত নন।