চৌদ্দ দলে থাকতে চায় নাজমুল হুদার নেতৃত্বে আরো ৯টি দল: নাসিম
আহমেদ জাফর: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য চৌদ্দ দলের মূখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন,বিএনপিকে চুড়ান্ত পর্যায়ে পরাজিত করার লক্ষ্যে তৃণমূল বিএনপিসহ আরো ৯টি দল আমাদের সাথে কাজ করতে চায়। এজন্য তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি, সিদ্ধান্ত নিবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। গতকাল আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে চৌদ্দ দলের মূখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও তৃণমূল বিএনপিসহ ৯টি দল জোটে গঠনের লক্ষ্যে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি জামায়াতের অশুভ শক্তিকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সাথে কাজ করতে চায় তৃণমূল বিএনপিসহ আরো ৯টি দল।
প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে নির্দেশনা আছে এর লক্ষ্যে আমরা তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি একাত্তর ঘাতকদের লালনকারী খালেদা জিয়ার অশুভশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সেখানে ছোট বড় সবাইকে নিয়ে আন্দোলন করতে চাই। এ লড়াইয়ের সাথে শরিক হতে চায়, তাই তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। যে অশুভ শক্তি আছে বাংলাদেশে এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়েছিল যারা, তারা আজও ষড়যন্ত্রের চক্রান্তের সাথে জড়িত আছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে। সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। মানবতার নেত্রী হিসেবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে এমনকি এই চৌদ্দ দলকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আর সেই নেত্রীকে বারবার বাধাগ্রস্ত করার জন্য চক্রান্ত হচ্ছে তারপরও বাংলাদেশকে বিস্ময় স্থানে নিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই নির্বাচন হবে এর বিকল্প নেই।
জনগণের রায়েরপথ ব্যতীত কেউ নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে না। চক্রান্ত করেও কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বিএনপি গণতন্ত্রেকে বিশ্বাস করলে নির্বাচনে আসবে। নির্বাচনের মাধ্যমে তাদেরকে পরাজিত করব, আর এ লড়াই আমরা সবাইকে সাথে নিয়ে করতে চাই।
তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ড. নাজমুল হুদা বলেন, তৃণমূল বিএনপি ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সসহ ৯টি দল চৌদ্দ দলের সাথে অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে একসাথে জোট করে কাজ করার প্রত্যায় ব্যক্ত করেছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা মনে করি আলোচনার প্রয়োজন ছিল। তাই আমরা জোটে সাথে আলোচনা করছি।
জাতীয়তাবাদী শক্তি বলতে তাদেরই বোঝায় যারা অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে বিশ্বাস করে,সেই জাতীয়তাবাদী শক্তি আজ অসাম্প্রদায়িকতা। সেই জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সুদৃঢ় আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য জাতীয় জোট গঠন করে প্রধানমন্ত্রীর অনুরাগী হয়ে কাজ করতে চাই। বিশেষ করে যে সমস্ত চক্রান্ত হচ্ছে জনগণের বিরুদ্ধে সেটাকে মোকাবেলা করার জন্যই এই অসাম্প্রদায়িকতা জোট করে কাজ করব।
তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করেছেন এ লক্ষ্যেই বাংলাদেশের জনগণ হবে সকল ক্ষমতার উৎস। এদেশের সাম্প্রদায়িক কান্ডের বিরুদ্ধে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন আগামীতে নিশ্চিত করে, বাংলাদেশের জনগণ সরকারকে আবারও প্রতিষ্ঠিত করবে। এখন আর জ্বালাও পোড়াও হয় না কারণ শেখ হাসিনা বুদ্ধি দিয়ে সব কিছু বন্ধ করছেন।
বিএনপি ভুল করেছে এজন্য আমরা সমর্থন করি না। অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদী জোট গঠন করে অশুভ শক্তিকে মোকাবেলা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রস্তাব রাখবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বাহাউদ্দিন নাছিম।