আমের মোকাম খালি, বাড়ছে দাম
মতিনুজ্জামান মিটু: খালি হয়ে আসছে আমের মোকাম। বেপরোয়া গতিতে বাড়ছে দাম। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছাড়া দেশের ২২টি আম উৎপাদনকারী জেলার কোথাও এখন আর আম পাওয়া যাচ্ছে না। তাই রপ্তানিকারক ও ব্যবসায়ীরা চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট ও শিবগঞ্জের আমের আড়তগুলোতে ভিড় জমিয়েছে। এতে ব্যাগিং ও নন ব্যাগিংসহ সবধরনের আমের দামই বেড়ে চলেছে। শিবগঞ্জ ম্যাঙ্গো অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল খান শামীম বলেন, চাঁপাই ছাড়া দেশের অন্য জায়গায় আম নেই। বর্তমানে ফজলি আর আশ্বিনা ছাড়া আর কোনো আম নেই।
গতকাল বুধবার স্থানীয় বাজারের আড়তে ফজলি মণপ্রতি ব্যাগিং করা ২ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার টাকা, ভাল মানের নন ব্যাগিং ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায় ও জুস তৈরীর জন্য ব্যবহৃত আম বিক্রি হয়েছে মণপ্রতি ৫০০ টাকায়। ভাল মানের আশ্বিনা আম বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। ফজলি আম পুরো জুলাই মাস ধরেই এখানকার বাজারে পাওয়া যাবে। আর আশ্বিনা আম থাকবে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে বাজারে আশ্বিনা আম পাওয়া গেলেও তা ততটা মিষ্টি নয়। আগস্ট মাসের আগে আশ্বিনা মিষ্টি হয়না। ব্যাগিং বা নন ব্যাগিং বড় ব্যাপার নয় রপ্তানিকারকরা খোঁজে সস্তা আম। সস্তায় পাওয়া গেলে তারা যে কোনো আম নিতে কার্পণ্য করেনা। রপ্তানীকারকরা সব সময় বাছাই করে আম নিয়ে থাকে। মাছি কাটা ও কালো দাগযুক্ত অসুন্দর আম তারা নেয়না। শিবগঞ্জের আড়তে ব্যাগিং ছাড়া আম বিক্রি হয়না। কানসাটে নন ব্যাগিং আম পাওয়া যায়। গত শুক্রবার শিবগঞ্জ থেকে আরও ২ মেট্রিক টন ব্যাগিং করা আম নেবে রপ্তানিকারকরা। সম্পাদনা: মোহাম্মদ রকিব হোসেন