পাকিস্তান নির্বাচনে সেনাবাহিনী সরাসরি কোনো ভূমিকা রাখবে না
ইমরুল শাহেদ: পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্সের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বৃহস্পতিবার পুনরায় বলেছেন সেনা বাহিনী নির্বাচনে সরাসরি কোনো ভূমিকা পালন করবে না। সিনেট স্ট্যান্ডিং কমিটিকে আইএসপিআরের এই মহাপরিচালক বলেছেন, সেনা বাহিনী শুধু নির্বাচন কমিশনের দেওয়া দিক-নির্দেশনাই অনুসরণ করে চলবে।
তিনি বলেন, ‘একটা গুজব ছড়িয়ে পড়েছে যে সেনা বাহিনীকে বিভিন্ন ইস্যুতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা একেবারেই ভিত্তিহীন। নির্বাচনের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা শুধু আইন-শৃংখলা রক্ষার জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মেনে চলব। নির্বাচনে সরাসরি আমাদের কোনো ভূমিকা থাকবে না।’
এরপর জেনারেল গফুর কিভাবে নির্বাচনে নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে সে বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী বরাবরই বেসামরিক প্রতিষ্ঠানকে সমর্থন দিয়ে থাকে। নির্বাচনের জন্য সারা দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনেক উন্নত হয়েছে।’
‘সারাদেশের ভোট কেন্দ্রগুলোতে তিন লাখ ৭১ হাজার সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। সেনা বাহিনী ব্যালট মুদ্রণের স্থানেও কাজ করে যাচ্ছে।’
সিনেটর কুলসুম পারভীন মহাপরিচালকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন বেলুচিস্তানে কত সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে? সেখানে রাজনৈতিক হত্যাকা- হচ্ছে বেশি। ক’দিন আগেই সেখানে আত্মঘাতী হামলায় ১৫০ জন লোক নিহত হয়েছেন। আইএসপিআরের মহাপরিচালক বলেন, ‘এই পরিকল্পনা আমাদের হাতে ছেড়ে দিন। আমরা জানি কোথায় কত সৈন্য মোতায়েন করতে হবে। আমরা প্রতিটি স্থানেরই নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখেছি। বেলুচিস্তানে যত জন মোতায়েন করা দরকার তত জনই মোতায়েন করা হবে।’
মেজর জেনারেল গফুর পরিস্কারভাবেই বলেছেন যে সেনা বাহিনী নির্বাচনের সকল নিরাপত্তা প্রদান করার অর্থ এই নয় যে তারা রাজনীতিবিদদের মঙ্গল করার জন্য কাজ করে যাবে।
তিনি বলেন, সেনা বাহিনী কোনো রাজনৈতিক নেতার নিরাপত্তার দায়িত্বে কাজ করবে না। রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পাকিস্তান সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের। আমরা শুধু নির্বাচনের সময়ে ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দিচ্ছি।
তবে তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না পুলিশ সক্ষমতা অর্জন করতে পারে ততক্ষণ পর্যন্ত সেনা বাহিনীকে সে দায়িত্বও পালন করতে হবে। ডন