লিহান লিমা: কয়েক বছর ধরে সংস্কার চালানোর পর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হলো অ্যাডলফ হিটলারের অবকাশ কেন্দ্র ‘দ্য প্রোরা’। প্রোরা থেকে বাল্টিক সমুদ্রের অসাধারণ দৃশ্য দেখা যাবে। জার্মানির রাজধানী বার্লিন থেকে প্রোরাতে গাড়ি করে পৌঁছতে সময় লাগবে ৩ ঘণ্টার মতো। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন জনপ্রতি ২.৮৫ ইউরো হলিডে ট্যাক্স ধার্য করেছেন। ডেইলিস্টার, ইউকে
পোল্যান্ড আক্রমণের ৩ বছর আগে ১৯৩৬ সালে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলার ২০ হাজার মানুষ ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বিশ্বের সর্ববৃহৎ ট্যুরিস্ট রিসোর্ট তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। রুগেন দ্বীপের সৈকতের কাছেই গড়ে তোলা হয়েছিল এই রিসোর্ট। ২০১৩ সালে জার্মান রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান মেট্রোপল মার্কেটিং প্রোরার সংস্কার এবং বাকি নির্মাণকাজ শেষ করার দায়িত্ব নেয়। মেট্রোপলের পরিকল্পনা অনুযায়ী বিলাসবহুল রিসোর্ট এবং অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স হিসেবে গড়ে তোলা হয় প্রোরাকে। এতে রয়েছে, প্রোরা সলিটেয়ার হোম এবং প্রোরা সলিটেয়ার হোটেল অ্যাপার্টমেন্ট অ্যান্ড স্পা, পেন্টহাউস স্যুইটস, রেস্টুরেন্ট ও শপিং মল। সাড়ে ৪ কিলোমিটার লম্বা এই হোটেলটি এখন বিশ্বের ষষ্ঠ দীর্ঘতম বিল্ডিং।
জার্মান ইতিহাসবিদ এবং ট্যুর গাইড রজার মুরহাউজ জানান, ‘১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত এর নির্মাণ কাজ চললেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে এর নির্মাণকাজ পুরোপুরি সমাপ্ত হয়নি। রিসোর্টটি তৈরিতে কাজ করেছিল ৯ হাজার শ্রমিক। এটি হিটলারের গোপন পুলিশবাহিনী গেস্টাপোর সদস্যদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এ ছাড়া নির্মাণকাজের সাথে জড়িত শ্রমিকরা কাজের পর প্রোরাতেই বিশ্রাম নিতেন।’ সম্পাদনা: মোহাম্মদ রকিব হোসেন