রাজশাহীতে কৌশলে বিএনপির পক্ষে জামায়াত
মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মজুমদার: সিলেটে বিএনপি ও জামায়াতের সমযোতা না হলেও রাজশাহীতে বিএনপি মেয়র প্রার্থী বুলবুলের পক্ষে ভিন্ন কৌশলে গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে জামায়াত। বিশেষ করে নগরীর সীমান্তবর্তী মহল্লাগুলোতে তারা বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ ও প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে মাঠে তাদের উপস্থিতি দৃশ্যমান নয়। বলা যায়, অনেকটা নিরবেই তারা বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। অন্যদিকে, বিএনপির পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, দৃশ্যমান না হলেও জামায়াত তাদের সঙ্গে আছে, তাদের পক্ষে কাজ করছে।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলছেন, ‘জামায়াত মাঠে ঠিকই আমাদের পক্ষে কাজ করছে। জামায়াতের নেতাকর্মীরা বাসায় বাসায় গিয়ে গণসংযোগ করছেন।’
বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেয়র প্রার্থীর হয়ে কাজ করার জন্য তারা কোনও ওয়ার্ডেই একক কোনও কাউন্সিলর প্রার্থী দেননি। বিএনপির ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা যে যেখানে আছেন সেখানেই কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যেসব ওয়ার্ডে জামায়াত ও আমাদের দলের কাউন্সিলর প্রার্থী আছে সেখানে নির্দেশ দেওয়া আছে যে প্রার্থীর অবস্থান ভালো মনে হবে তার পক্ষেই সবাই কাজ করবে আমাদের মূল টার্গেট মেয়র পদ।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই নির্বাচনকে ঘিরে জামায়াত তফসিল ঘোষণার শুরু থেকেই সংঘবদ্ধ। তারা জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরিকল্পনার ছক আঁকছে। বিশেষ করে তাদের শক্তি প্রমাণ করতে এই নির্বাচনকে বেছে নিয়েছে। এজন্য সিটি করপোরেশনের মধ্যের দুইটি থানাকে তারা বেছে নিয়েছে। প্রশাসনের তৎপরতার কারণে দীর্ঘদিন তারা মুভ করতে পারেনি। ফলে জামায়াত-শিবির অনেকটাই ভঙ্গুর হয়ে গিয়েছিল। তারা এখন প্রচারণার আড়ালে আবার সংঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে। ভোট প্রার্থনার আড়ালে প্রার্থীদের অবস্থা অনুযায়ী ভোটারদের নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন। এর আগে মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর সেলিম বলেছিলেন, ‘আমরা ২০ দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে আছি। তবে মাঠে নামিনি। তাদের (বিএনপি) ঘর গোছানো হলে আমাদের ডাকবে।’ তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলছেন,‘২০ দলীয় জোট তাদের পক্ষেই আছে। তবে ২০ দলীয় জোট তাদের পক্ষে কাজ না করলেও বিএনপি একাই যথেষ্ট। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপির সঙ্গে আর কাউকে দরকার নেই।’