মো. ইউসুফ আলী বাচ্চু: সড়ক মহা সড়কে চাঁদাবাজি, অন্যায়ভাবে যখন তখন শ্রমিক ছাঁটাই, দায়িত্ব পালনকালে নিরীহ শ্রমিক পুড়িয়ে মারার প্রতিবাদে ১২ দফা দাবি জানিয়েছে সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সড়ক পড়িবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইনসুর আলী এ দাবি জানান।
তিনি জানান, সড়ক পরিবহনের কিছু অপেশাদার শ্রমিক নেতারা শ্রমিকদের শোষণ করে যাচ্ছে অথচ শ্রমিকের কল্যানে কোন কাজ করছে না। সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পত্র প্রদানের ব্যবস্থা থাকলেও পরিবহন শ্রমিকদের কোন নিয়োগ পত্র নাই। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি, বেপরোয়া চাঁদাবাজি, যখন তখন চাকরিচ্যুত বন্ধ কারাসহ ১২ দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবি সমূহ: ১. বাংলাদেশ শ্রম আইন -২০০৬ সংশোধিত ২০১৩ ইং, বিধীমালা-১৫ অনুযায়ী সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের স্ব-স্ব মসলিক কর্তৃক বাস, ট্রাক চালক ও সহকারী শ্রমিকদের অবিলম্বে নিয়োগ পত্র প্রদান এবং ন্যুনতমতম বেতন ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করতে হবে। ২. শ্রম আইন ২০০৬ মোতাবেক বাস ট্রাক চালকের ঘণ্টা নির্ধারণ, অতিরিক্ত ডিউটির জন্য ওভারটাইম প্রদান ও মালিক কর্তৃক বাধ্যতামূলক সার্ভিস বুক ইস্যু করতে হবে। ৩. বিভিন্ন ইউনিয়নের নামে শ্রম আইন পরিপন্থী অবৈধ চাঁদা আদায়কারীদের গ্রেপ্তার করে আইন আওতায় আনতে হবে। ৪. বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধিত ২০১৩ অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত- নিহত শ্রমিকদের পরিবার পরিজনকে শ্রমিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা করতে হবে। ৫. যানজট নিরসন ও সড়ক দুর্ঘটনা রোধের জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেস বিহীন সকল প্রকার যানবাহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। ৬. বিআরটিএ কতৃক পরিবহন চালকের লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে রিটেষ্ট প্রথা বালতি করে সহজীকরণ ও প্রতিটি জেলায় চালকদের জন্য সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা এবং নতুন পরিবহন রেজিস্ট্রেশন প্রদানের ক্ষেত্রে চালকদের নিয়োগপত্র বাধ্যতামূলক করতে হবে। ৭. হাইওয়ে সড়কে ট্রাক- ট্র্যাংলরী ও কভার্ড ভ্যানেট উপর অহেতুক পুলিশের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। ৮. ঢাকায় সীমাহীন যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ফুলবাড়িয়া স্টপ-ওভার অস্থায়ী পরিবহন টার্মিনাল পরিচালনা কমিটি গঠন করতে হবে। ৯. সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের জন্য শ্রমিক কল্যাণ তহবিল বিল অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হব। ১০. নাইট কোচ যাত্রীদের ডাকাতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রতিটি পরিবহনে মালিক কতৃক ২ জন আনসার, পুলিশ নিয়োগ করতে হবে। ১১. সকল বেসিক ইউনিয়নের পরিচয়পত্র বহনকারী পরিবহন শ্রমিকদের জেলা ভিত্তিক রেশনিং ব্যবস্থা করতে হবে। ১২. ঢাকা মহানগরের মধ্যে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সকল বাস ও নাইটকোচ কাউন্টার অবিলম্বে আন্তঃজেলা টার্মিনাল স্থানান্তর করতে হবে। সম্পাদনা: আনিস রহমান