নূর সাইদ বিল্লাহ
কয়েকদিনের ব্যবধানে বাস চাপায় ৬ জন শিক্ষার্থী নিহত হওয়ায় আমরা শোকাহত। কে রুখবে এই বাস শ্রমিকদের? ছাত্রদের সাথে ওদের শত্রুতা কিসের? সড়কের যেখানেই দূর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে তাদের অধিকাংশই ছাত্র। বাস চালকরা অশিক্ষিত, নাকি একজন ছাত্রকে ওদের জীবনের সাথে মূল্যয়ন করতে চায়? কারণ, ওরাতো দিনে বাস চালায় রাতে নেশা করে, ওদের জীবনের আর মূল্য কি? কিন্তু, এভাবে শিক্ষার্থী হত্যা চলতে থাকলে শুধু একজন ছাত্র না, শুধু একটা পরিবার না, একটা দেশই ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাবে। এটাকে আমি দূর্ঘটনা কোন ভাবেই বলবো না। এই যে সেদিন প্রাইভেট ভার্সিটির ছাত্র বাসের সাথে ধাক্কা লেগে মরেনি, কিন্তু ড্রাইভার ও হেল্পার মিলে তাকে মরতে বাধ্য করলো। খুব কষ্ট লাগে যখন তার জায়গায় নিজেকে দার করাই। যখন চিন্তা করি আমাকে নিয়ে আমার বাবা মা কি ভাবতেছে? প্রথম শ্রেণি থেকে মাষ্টার্স পর্যন্ত পড়াতে বাবা-মা কি কষ্ট আর স্বপ্ন দেখেন? আর এই কষ্ট আর স্বপ্ন যদি অশিক্ষিত আর নেশাখোর একজন বাসের ড্রাইভার এক ধাক্কায় গুড়েবালি করে দেয়, তখন পৃথিবীর কে আছে ঐ বাবা মাকে শান্তনা দিবে? বাস শ্রমিকদের হাত দিলাম, পা দিলাম, কত হাজার কোটি টাকার জীবন দিলাম আর কি চাও তোমরা? আর কিসের বিনিময়ে আমরা নিরাপদ সড়ক পাবো? নাকি ছাত্রদের হাফ ভাড়া ফ্যাক্ট? এই হত্যাকারিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই।
পরিচিতি : শিক্ষার্থী, মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজ/ মতামত গ্রহণ : তাওসিফ মাইমুন/ সম্পাদনা : মেহেদী হাসান