সাইদ রিপন: সদ্য সমাপ্ত সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্থগিত হওয়া দুটি কেন্দ্রের ভোট ১১ আগস্ট শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র। এর আগে রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট সিটি করপোরশনের ভোট গ্রহণ হয় গত সোমবার । রাজশাহী ও বরিশালে মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। অপরদিকে সিলেটে দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ায় ঝুঁলে আছে ফলাফল। দুটি কেন্দ্রে ফলাফল ছাড়াই সিলেটে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী এগিয়ে আছেন। বিজয়ী হতে তার প্রয়োজন মাত্র ১৬১ ভোট।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) বিধিমালা ২০১০ এর ৩৭(২) বিধি অনুসারে সিলেটে বন্ধ ঘোষিত দুটি কেন্দ্রে আগামী ১১ আগস্ট পুনঃভোট গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে গত সোমবার রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতর থেকে সর্বশেষ ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে ১৩৪ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৩২ কেন্দ্রে আরিফুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ৯০ হাজার ৪৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান (নৌকা) পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৮৭০ ভোট। আরিফুল ৪ হাজার ৬২৬ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। অন্য দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান জানান, সিলেটে মোট ভোট কেন্দ্র ১৩৪টি। এর মধ্যে স্থগিত হওয়া দুটো কেন্দ্রের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের গাজী বুরহানউদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের হবিনন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটার ৪ হাজার ৪৮৭ জন। এ হিসেবে আরিফুল হককে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করতে ১৬১ ভোটের প্রয়োজন ছিল। নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫৬টি। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ৭ হাজার ৩৬৭ ভোট। মোট বৈধ ভোট ১ লাখ ৯১ হাজার ২৮৯। সোমবার বিকেল চারটায় ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী একপ্রকার হতাশার সুরেই নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলেন। দিনভর ভোট গ্রহণে নানা অভিযোগ করেন সদ্যবিদায়ী এই মেয়র।
বিএনপির পক্ষ থেকে সোমবার দুপুরের দিকে অভিযোগ করা হয়, অন্তত ৪১টি কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকেরা। তারা বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছেও জানানোর কথা বলেন। বিএনপি প্রার্থীর বক্তব্য এবং অন্য দুই সিটির নির্বাচনের পরিস্থিতি দেখে এমন ধারণা অনেকের মধ্যে সৃষ্টি হয়, হয়তো সিলেটও শাসক দলের দখলে যাবে। তবে ফলাফল ঘোষণার শুরু থেকেই চমক দেখা যায়। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যে দুটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) গ্রহণ করা হয়েছে, তাতে এগিয়ে যান আরিফুল হক চৌধুরী। সম্পাদনা: শোভন দত্ত