স্বপ্না চক্রবর্তী: পূর্বের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই প্রবৃদ্ধিবান্ধব এবং মূল্যস্ফীতি পরিমিত রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক সংযত ধরণের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বলে মন্তব্য করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
গতকাল বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, ঘোষিত মুদ্রানীতিতে উচ্চতর প্রবৃদ্ধির ধারাকে আরও গতিশীল করতে অভ্যন্তরীন ঋণের প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৯শতাংশ এবং বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি সংকুলানের সুযোগ রাখা হয়েছে। এ পদক্ষেপ বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেছে তারা। বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, ব্যাংকের পরিচালন ব্যয় হ্রাস, আমানত ও ঋণ সুদ হারের ব্যবধান বা স্প্রেড সংকোচন, সরকারি সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ও ট্রেজারি বন্ড সুদের হার যৌক্তিকীকরণসহ বেশ কিছু সংস্কারমূলক উদ্যোগের কথা মুদ্রানীতিতে বলা হয়েছে, যা ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরালো করার দাবি জানিয়েছে তারা।
অপ্রয়োজনীয় বিলাসী ও আমদানি পণ্যের জন্য অভ্যন্তরীন ঋণ ব্যবহৃত না হয়ে যাতে প্রকৃত উৎপাদনমুখী ও কর্মসংস্থানবান্ধব হয় সেদিকে বিশেষ নজরদারির কথা মুদ্রানীতিতে বলা হয়েছে, যা উৎপাদন খাতের ঋণ প্রবাহকে উৎসাহিত করবে। এছাড়াও রপ্তানি ও যথাযথ ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স আন্তঃপ্রবাহ জোরদারকরণ, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ আকর্ষণে কার্যক্রম জোরদারকরনের উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। যা বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও পুঁজিবাজারকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে বলে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই নেতারা জানান, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলো ছাড়া অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সুদের হার এখনও সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনেনি। ঘোষিত মুদ্রানীতির যথাযথ বাস্তবায়নে নিবিড় মনিটরিং জোরদারের দাবি জানিয়ে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, জাতীয় উচ্চতর প্রবৃদ্ধিকে আরও গতিশীল করার স্বার্থে ব্যবসাবান্ধব ব্যাংকিং ব্যবস্থা এবং বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন তরান্বিত করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সকল ব্যাংকে ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর নজরদারি থাকা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করে তারা। সম্পাদনা: মোহাম্মদ রকিব হোসেন