সু চির ছবি অন্ধকারে ঢেকে দিল কানাডার জাদুঘর
লিহান লিমা: মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধন ইস্যুতে দেশটির নেত্রী অং সান সু চির কঠোর সমালোচনা করল কানাডার হিউম্যান রাইটস মিউজিয়াম। গত বুধবার জাদুঘরটি সু চির ছবি অন্ধকারে ঢেকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আনাদুলু এজেন্সি
কানাডার উইনিপেগের ম্যানিটোবা শহরের এই জাদুঘর কর্তৃপক্ষ জানায়, বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর নির্যাতনের নিন্দা করতে ব্যর্থ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কানাডার রোহিঙ্গা কমিউনিটির প্রতিনিধি রাইস তিনমায়ুন এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি স্বস্তির সিদ্ধান্ত। তিনি কোন মানবাধিকার আইকন নন, তিনি নির্যাতনকারী। এখানে তার থাকার প্রশ্নই ওঠে না।
এই জাদুঘরে মানবাধিকারের জন্য লড়াই করা ব্যক্তিদের ছবি সংরক্ষণ করে তা প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়। সু চি’র ছবির এক পাশে ছিল নেলসন ম্যান্ডেলা ও অন্য পাশে মালালা ইউসুফজাইয়ের ছবি। কিন্তু এখন সু চির ছবিটি অন্ধকারাছন্ন। মিয়ানমারের গণতন্ত্রের জন্য এক সময় আন্দোলন করা সু চি ও এই জাদুঘরে স্থান পান। কিন্তু রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের জন্য আন্তর্জাতিক নিন্দা ও সমালোচনার মুখে পড়েন সু চি। জাদুঘরের মুখপাত্র অ্যাঞ্জেলা ক্যাসি বলেন, ‘প্রথমে সু চির ছবি সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা ইতিহাস পরিবর্তন করতে চাইছি না। এর বদলে সু চির ছবির বক্সে আলো জ্বলবে না। তা থাকবে অন্ধকারাচ্ছন্ন। এটি দর্শকদের নতুন বার্তা দিবে।’
প্রসঙ্গত, দশকব্যাপী নির্যাতনের শিকার হওয়া রোহিঙ্গারা ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট আবারো সেনাবাহিনীর ধর-পাকড়ের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা। ২৫ আগস্ট থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ হাজার ৪০০ রোহিঙ্গা নিহত হয়। ডক্টর উইদাউট বর্ডারস জানায়, ৬ হাজার ৭০০ রোহিঙ্গাই সহিংসতার শিকার হয়ে নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭৩০ জনই শিশু ও তাদের বয়স ৫ বছরেরও কম। জাতিসংঘ এটিকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে। সম্পাদনা: মোহাম্মদ রকিব হোসেন