আসিফুজ্জামান পৃথিল: ভারতের জাতীয় নাগরিকত্ব পুঞ্জি (এনআরসি) থেকে বাদ পড়েছেন আসামের ৪০ লাখ নাগরিক। তবে ভারতের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে এনআরসি থেকে বাদ পড়া মানে ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া নয়। কারণ ভোটার তালিকা হয় নির্বাচনি আইন অনুযায়ী। ইয়ন নিউজ
ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ওপি রাওয়াত নয়া দিল্লিতে বলেছেন, এনআরসি এবং নির্বাচনি কাজ সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। ভোটার তালিকায় নাম ওঠানোর জন্য ৩টি বিষয়ের উপস্থিতি প্রয়োজন। ১৯৫০ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী নিবন্ধিত ভোটারকে ভারতের নাগরিক হতে হবে, নিবন্ধন বছরের ১ জানুয়ারি তার বয়স ১৮ হতে হবে। এবং তাকে নিবন্ধন এলাকার বাসিন্দা হতে হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘প্রামান্য দলিল সহযোগে কেউ এই শর্ত পালনে সক্ষম হলে ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত হতে পারবে।’ উদাহরণস্বরূপ রাওয়াত বলেন, একজন হয়তো আসামে এনআরসির জন্য আবেদন করেছে। কিন্তু সে আসামের স্থায়ী বাসিন্দা নয়। আসামে হয়তো চাকরি বা শিক্ষা সূত্রে কয়েকবছর ধরে বাস করছে। এজন্য তো তার ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটা যেতে পারে না।
‘একজন ভারতের নাগরিক দিল্লিতে কাজ করেন। তাকে আসামে বদলি করা হলো। এরপর তিনি সেখানে ২ বছর আছেন। তিনি সেখানেই প্রমাণসহ ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্তির আবেদন করলেন। তিনি এনআরসিভুক্ত হন আর না হন আমরা তার নাম তুলতে বাধ্য।’ রাওয়াত আরো জানান এটি একটি খসড়া এনআরসি। আগামী ১ মাসে এই ৪০ লাখ ব্যক্তিকে জানানো হবে কেনো তাদের নাম এনআরসিতে নেই। এরপর তারা আপিলের সুযোগ পাবেন। সম্পাদনা: মোহাম্মদ রকিব হোসেন