‘কোমলমতি শিক্ষার্থিদের আন্দোলনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হলেও ফলাফল কিছুই হবে না’
মুহাম্মদ নাঈম: শিক্ষার্থিদের এখনই প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের উপর ভরসা করে ফিরে যাওয়া উচিত হবে না। যদি শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যায় তাহলে প্রধানমন্ত্রী তার আশ্বাস রাখবেন কী? এটা নিয়ে শঙ্কায় ভুগছে শিক্ষার্থি ও সাধারণ মানুষ। যদি শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যায় তাহলে কি তিনি পারবেন পরিবহনের নৈরাজ্য ঠিকপথে আনতে এবং শাস্তির আওতায় আনতে। পারবেন না কারণটা হলো বাংলাদেশে গণতন্ত্র নাই। দেশে এক ধরনের স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চলছে। আইনের শাসনের প্রচুর অভাব আছে। বিচারহীনতার নামে অপসংস্কৃতি চলছে। যার কারণে ছাত্রলীগ কোমলমতি শিক্ষার্থিদের উপর বেপরোয়া হামলা চালিয়ে তাদের শান্তিপুর্ণ আন্দোলনে ব্যাঘাত ঘটালো। আমাদের অর্থনীতিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থিদের আন্দোলনটা খুব গুরুত্বপুর্ণ। তবে এই আন্দোলনের ফলাফল কিছুই হবে না। কারণ, দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থা, দেশের পরিবহন ব্যবস্থা, পরিবহন সংক্রান্ত আইন কানুন এবং পরিবহনের এডমিনিস্ট্রেশন-এর কোনটার যোগ্যতা নেই এই সমস্যা সমাধান করার। যদি দেশের রাজনীতি উন্নত হয় এবং উন্নত চরিত্রের সরকার হয়, তবে এই সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব হবে। রাস্তায় চলতে গিয়ে লক্ষ করেছি, যারা এই আন্দোলন করেছে নবম-দশম শ্রেণী কিংবা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থিরা। এই ছেলেমেয়েদের প্রতি প্রথম থেকেই পুলিশ নির্দয় আচরণ করেছে। সরকার বলছে এদের পেছনে স্বার্থান্বেষী মহল রয়েছে। এর আগে বলত রাজাকারের বাচ্চা, শুধু এই কথাটাই বলা বাকি ছিল। সরকারে পদক্ষেপে বেশ কিছু ভুল রয়েছে। কিন্তু সরকারের বক্তব্যে কিছু উস্কানিমুলক কথা বলে যাচ্ছে। এমপি মন্ত্রীরা যে সকল বক্তব্য দিচ্ছে, তা শিক্ষার্থিদের আরও উস্কে দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার আইন পাশ করার পরে শিক্ষার্থিদের ফিরে যাওয়াই উচিত হবে। এর সাময়িক সমাধান হবে এবং শিক্ষার্থিদের এভাবে বেশি দুর এগুনো উচিত না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত উপস্থিত হওয়া উচিত। তা নাহলে তাদের লেখাপড়ায় ব্যঘাত ঘটবে। কিন্তু সমস্যা সমাধানের জন্য রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া লাগবে। তার প্রস্তুতি দেশের কোথাও নেই। এমনভাবে এই সরকারের আমলে সমাধান আমরা আশা করতে পারি না।