লিহান লিমা: সম্প্রতি জোহানবার্গে অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে সদস্য দেশগুলো প্রথমবারের মত বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থাপনার ওপর জোরারোপ করে মুক্ত বাণিজ্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হওয়া আসিয়ান সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোও বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে বিশেষ উদ্বেগ ব্যক্ত করেছে। ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশীপ-টিপিপি এবং নাফটা চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসা, ইউরোপিয় মিত্রদের ওপর শুল্কারোপ, চীনের সঙ্গে হুমকি, পাল্টা হুমকি এবং দফায় দফার প্রতিশোধমূলক শুল্কারোপের মত ইস্যুগুলো ওঠে আসে এই সম্মেলনের আলোচনায়।
আসিয়ান সম্মেলনে কয়েকটি দেশ ১৬ জাতিগোষ্ঠির সমন্বয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ‘রিজিওনাল কমপ্রেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশীপ’-আরসিপি গড়ার প্রস্তাব দেয়। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো বলেন, ‘সংরক্ষণবাদের উত্থানের এই সময়ে আরসিপি চুক্তি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’ সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লি হেইসেন লুয়াং বলেন, ‘আশা করছি, আরসিইপি এই বছরের শেষের দিকেই এই চুক্তির কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।’
গতকাল শনিবার সম্মেলনের ফাঁকে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাণিজ্য যুদ্ধ আসিয়ান দেশগুলোর জন্য সরাসরি হুমকি। এই হুমকি আমাদের সবাইকে উদ্বেগের মুখে ফেলেছে, এটি ক্রমেই জটিল হচ্ছে।’ দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেয়াং কুয়াং ওয়া বলেন, ‘ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়া বৈশ্বায়ন বিরোধী মনোভাব এবং বাণিজ্যে সংরক্ষণাবাদীতা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের মুখ্যে সবচেয়ে বড় হুমকি।’
এর আগে, ৩০ জুলাই ব্রিকস সম্মেলনের শেষ দিনে সদস্য দেশগুলো শিল্পায়ন, বহুপক্ষীয় ব্যবস্থাপনা জোরদার এবং সংরক্ষণবাদ ও ক্ষমতার রাজনীতির বিরুদ্ধে এক হওয়ার বিষয়ে জোর দেয়। ফার্স্টপোস্ট, বিজনেস টুডে।