লিহান লিমা: দাবানল ও অতিরিক্ত তাপমাত্রায় পুড়ছে গোটা ইউরোপ। অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জনজীবন। সেই সঙ্গে ভিড় জমেছে সমুদ্র সৈকতে। গতকাল শনিবার অতিরিক্ত তাপমাত্রার প্রভাবে স্পেন ও পর্তুগালে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
দক্ষিণপূর্ব স্পেনে ৪১ বছরের এক যুবক হিটস্ট্রোকের শিকার হন। বৃহস্পতিবার হিটস্ট্রোকের শিকার হয়ে হাসপাতালে মারা যান ৭৮ বছরের এক ব্যক্তি। শুক্রবার বার্সেলোনায় মধ্যবয়সী একজন হিটস্ট্রোকে মৃত্যুবরণ করেন।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা জানায়, স্পেনে বর্তমানে ৪৭.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং পর্তুগালে ৪৭.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এর আগে ইউরোপে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা একবার রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ১৯৭৭ সালে গ্রীসের রাজধানী এথেন্সে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। অর্থাৎ ইতিহাস সৃষ্টির দ্বাপ্রান্তে এখন ইউরোপ।
অবকাশকালীন এই সময়ে ইউরোপজুড়ে এমন তাপমাত্রায় সফরকারীদের দিনের বিশেষ সময়ে সূর্য থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে হিটস্ট্রোকের বিষয়ে বিশেষ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। শিশু এবং বৃদ্ধদের বিশেষ যতœ দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।
স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যায় জুন থেকে মধ্য-জুলাই পর্যন্ত ইউরোপ জুড়ে তাপমাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পায়। সুইডেনে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। ব্রিটেনেও তাপমাত্রা আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পেয়ে। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। সিএনএন।