স্বপ্না চক্রবর্তী: যাত্রী নিরাপত্তার জন্য আইন ও আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং ট্রাফিক ব্যবস্থার শৃঙ্খলাই সড়কে অরাজকতা ও দুর্ঘটনা কমবে বলে মনে করে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)।
গতকাল শনিবার ‘দুর্ঘটনার নামে হত্যাকান্ড আর নয়! সড়কে হত্যাকান্ড ও অরাজকতা : কারণ ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত বক্তারা এ কথা বলেন। সম্প্রতি দু’জন শিক্ষার্থীর বাসচাপায় নিহত এবং চট্টগ্রামে একজনকে মেরে পানিতে ফেলে দেয়ার ঘটনা সবাইকে উদ্বিগ্ন করছে। ফলে যাতায়াতের নিরাপত্তা নিয়ে বর্তমানে সবাই শঙ্কিত উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, বর্তমানে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা নিরাপদ যাতায়াতের জন্য যৌক্তিক আন্দোলন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারও তাদের আন্দোলনের দাবিগুলো মেনে নিয়েছে। এখন দাবিগুলো দ্রুত বাস্তাবায়নে সরকারের উদ্যোগের জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি। পবা তার সহযোগী বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তির মাধ্যমে দাবিগুলো বাস্তবায়নে সরকারকে সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত। সেই সাথে দাবিগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিভিন্নভাবে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করবে। একই সাথে ছাত্রছাত্রীদেরকে যার যার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে বৈঠকের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন দৃকের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পবা’র সম্পাদক এম এ ওয়াহেদ, শামীম খান টিটু, স্ট্যামফোর্ড বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার, সাউথ-ইস্ট বিশ^বিদ্যালয়ের জৈষ্ঠ্য প্রভাষক স্থপতি জুবাইদা গুলশান আরা, বিসিএইচআরডি-এর নির্বাহী পরিচালক মাহবুল হক, পরিচালক মো. মমতাজুর রহমান মোহন, পবা’র সদস্য শামীমা জাহান, বাংলাদেশ সাইক্লিং ও হাঁটা জোট-এর কার্যনির্বাহী সদস্য মো. নিশু সাদেক, বাংলাদেশ নৃত্য শিল্পী সংস্থার মো. ইলিয়াস হায়দার, নাসফ-এর আইন বিষয়ক সহ-সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, লেখক কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, ডিমুস-এর প্রেসিডেন্ট সৈয়দা দিলরুবা আখতার, ডাব্লিউবিবি-ট্রাস্ট এর মাসুম বিল্লাহ্ ভূঁইয়া সদস্য প্রমুখ। সম্পাদনা: আনিস রহমান