মাছুম বিল্লাহ: ভারত যদি ৪০ লাখ নাগরিক পাঠায় তাহলে বাংলাদেশ কিছুই করতে পারবে না। এটা বাংলাদেশকে মেনে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আফসান চৌধুরী।
ভারতের আসামে জাতীয় নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়া ৪০ লাখ নাগরিকদের নিয়ে শঙ্কার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, আসাম ৪০ লাখ আসলে যে অস্থিরতা হবে সেটা ভারতের জন্য সুখকর হবে না। বাংলাদেশের জন্য বাড়তি আরও ৪০ লাখের বোঝা বাড়বে। তার ফলে বাংলাদেশে যে ভারতে প্রভাব আছে সেটা দুর্বল হবে। তিনি বলেন, এমনিতে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য যে সমস্যাটা তৈরি হচ্ছে। প্রতিটা দেশে কিন্তু চীনের প্রভাব বাড়ছে। নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রিলংকায় চীনের প্রভাব বেড়েছে। বাকি রয়েছে শুধু বাংলাদেশ। যদি এই ৪০ লাখ বাংলাদেশে আসে চীন অবধারিতভাবে বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তার করবে। যে সুযোগটা মিয়ানমারের জন্য চীন নিতে পারছে না। এখন সেই সুযোগটা নেবে। চীন বলবে তোমরা তো আমাদেরকে দোষ দাও আমরা তো নিজের দেশ থেকে পাঠায়নি। মিয়াননমার পাঠিয়েছে। এখন ভারত পাঠিয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ে বিজ্ঞ এই গবেষক বলেন, ভারত থেকে ঠেলে যদি ৪০ লাখ পাঠায় তাহলে বাংলাদেশে অস্থিরতা বাড়বে। আর বাংলাদেশে অস্থিরতা বাড়া মানে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অস্থিরতা বাড়া। এই অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক জটিলতা দেখা দেবে। আর এটা হলে বাংলাদেশের জন্য ভারতের যে প্রয়োজনীতা আছে, সেই প্রয়োজনীতার জায়গায় অস্থিরতা দেখা দেবে। আর ভারতবিরোধী রাজনীতিকরা সক্রিয় হবে উঠবে।
তিনি বলেন, আজকের দিনে ভারতের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ দেশ বাংলাদেশ। সেই অবস্থান ধরে রাখতে গেলে যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের জন্য কঠিন হবে। আর চীনের সমর্থকরা এটাকে সাধুবাদ জানাবে। কারন তারা চায় ভারতবিরোধী মনোভাব বাড়–ক, আর চীন এসে এখানে প্রবেশ করুক। এমনিতে বাংলাদেশে চীন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের বিরাট অংশে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে অবস্থানে চলে আসছে। রোহিঙ্গারা আসার কারণে চীন অতটা সবল নেই যতটা ভারত আছে। কিন্তু এটা হলে চীন সেই জায়গাটা দখল করবে।