শিমুল জাবালি: ২২ লাখ টাকার ‘রাজা বাবু’র পর এবার সবার উৎসাহ বাড়ছে গাজীপুরের ১৫ লাখ টাকার ‘লক্ষ¥ী বাবু’কে নিয়ে। গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী আবুবকর মাঝির স্ত্রী রেবেকা ৮মাস বয়সে ৫০ হাজার টাকায় কিনে নেন ফ্রিজাম জাতের ষাঢ়। বাড়িতে এনে সবাই মিলে নাম দেন লক্ষ্মী বাবু। ছেলে-মেয়ের যতœ যেভাবে করেন ঠিক তেমনই যতœ করা শুরু করেন লক্ষ্মী বাবুর। নিয়ম করে গোসল করানো, খাওয়ানো, অসুস্থ্য হলে ডাক্তার দেখানো, ওষুধ খাওয়ানো, একটু গরম পড়লে বাতাসের ব্যবস্থা সবই করছেন রেবেকা।
দুই বছর লালন-পালনের পর লক্ষ্মী বাবু এখন বিশাল আকৃতি ধারণ করেছে। তাকে দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসছে মানুষজন। তবে মালিক রেবেকার মনঃপূত না হওয়ায় এখনও বাড়িতেই আছে লক্ষ্মী বাবু। সঠিক মূল্য পেলে তবেই লক্ষ্মী বাবুর রশি উঠবে অন্যের হাতে। রেবেকার প্রত্যাশা ১৫ লাখ টাকা। তবে সেটা দু’পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হবে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৩৫ মণ ওজনের এত বড় বিশালাকৃতির ষাড় আশপাশের কোনো উপজেলায় নেই। এই ষাড়টি এবারে ঈদ উপলক্ষে দেশে বিভিন্ন স্থানে বসা গরুর হাটের প্রধান আকর্ষণ হতে পারে। তবে ষাড়টি কিনতে ক্রেতার যেভাবে বাড়িতে ছুটে আসছে তাতে মনে হচ্ছে গরুর হাটের দেখা লক্ষ্মী বাবু নাও পেতে পারে।
রেবেকা জানান, দুই বছর ধরে লক্ষ্মী বাবুকে লালন-পালন করছেন তিনি। একদিনও অসুস্থ হয়নি। তবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের লোকজন নিয়মত বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। তারা মূলত আসতেন ষাড়টির সঠিক পরিচর্যা হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য।