লিহান লিমা: সাম্প্রতিক বছরে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে দাবালন এবং অতিরিক্ত তাপমাত্রার সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে আর্কটিক সুইডেন, গ্রীস থেকে ভূমধ্যসাগর, দাবানল ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। ইউরোপ যখন সবুজ ভূমিকে আগুনে পুড়ে মর্মর হতে দেখেছে তখন জাপান এবং কোরিয়াতে অতিরিক্ত তাপমাত্রার প্রভাবে মৃত্যুবরণ করছে অনেকে।
গ্রীষ্মে জাপানে অতিরিক্ত গরমের শিকার হয়ে মারা গিয়েছে ১১৯ জন। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয় হাজারো ব্যক্তি। গ্রীসে দাবানলের কবলে পড়ে মারা যায় ৯১ জন। ক্যালিফোর্নিয়ার দাবালনে এই পর্যন্ত গ্রাস করেছে ৮টি প্রাণ। কানাডার কুইবেকে অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোকের শিকার হয়েছে মারা গিয়েছে ৭০ জন। মে’তে পাকিস্তানের করাচীতে অতিরিক্ত তাপমাত্রার মারা যায় ৬৫ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় মারা যায় ২৯ জন। ১৯৭৭ সালের পর রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রার মুখে পড়েছে স্পেন এবং পর্তুগাল। শনিবার অতিরিক্ত তাপমাত্রার প্রভাবে স্পেন ও পর্তুগালে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। সুইডেনে দাবালন আর্কটিক পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাজ্যেও অতিরিক্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাচরাল ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নাল জানায়, মানবসৃষ্ট জলবায়ূ পরিবর্তনের ফলে এই শতাব্দীতে আসছে বছরগুলোতে আরো অতিরিক্ত তাপমাত্রার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২০১৭ সাল তৃতীয় বৃহত্তম রেকর্ড ছাড়ানো তাপমাত্রার বছর। গত আট লাখ বছরের ইতিহাসে র্কাবন ডাই অক্সাইডের মাত্রা এখন সর্বোচ্চ।
স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যায়, জুন থেকে মধ্য-জুলাই পর্যন্ত ইউরোপ জুড়ে তাপমাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পায়। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা জানায়, স্পেনে এখন রেকর্ডকৃত ৪৭.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং পর্তুগালে ৪৭.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এর আগে ইউরোপে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা একবার রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ১৯৭৭ সালে গ্রীসের রাজধানী এথেন্সে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। সিএনএন।