সুজন কৈরী: অভিনেত্রী ও মডেল কাজী নওশাবা আহমেদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করেছে র্যাব। গতকাল রোববার দুপুরে র্যাব-১ এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-২ এর ডিএডি মো. আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
এ বিষয়ে র্যাব-১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও আইন কর্মকর্তা মো. আবদুল হানিফ বলেন, র্যাব-১ বাদী হয়ে মামলাটি (নম্বর-৮) করেছেন। মামলা হওয়ার পর নওশাবাকে উত্তরা পশ্চিম থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে ওই মামলায় নওশাবা আহমেদের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। অন্যদিকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন নওশাবার আইনজীবী। উভয়পক্ষের শুনানী শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাজাহারুল হক ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত শনিবার রাতে উত্তরা থেকে কাজী নওশাবাকে আটক করে র্যাব-১। এর আগে শনিবার বিকালে ফেসবুক লাইভে কাজী নওশাবা দাবি করেন, রাজধানীর জিগাতলায় একজন শিক্ষার্থীর চোখ তুলে ফেলাসহ দুইজন শিক্ষার্থীকে মেরে ফেলা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে তার এসব তথ্যের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
আটকের পর শনিবার রাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, ফেসবুকের গুজবের ঘটনাস্থল ছিল জিগাতলায়, সেই সময় কাজী নওশাবা ছিলেন উত্তরা নাটকের একটি শ্যুটিং স্পটে। সেখান থেকেই তিনি ফেসবুকে লাইভ করে গুজবটি ছড়িয়ে দেন। আর দ্রুত সময়ের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। গুজবটি ফেসবুকের ছড়িয়ে যাওয়ার পর তা নজরে আসলে বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে র্যাব। কাজী নওশাবার ফেসবুক আইডি থেকেই গুজবটি ছড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর রাত ১০টার দিকে উত্তরা থেকে তাকে আটক করা হয়। মুফতি মাহমুদ খান আরো বলেন, আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে নওশাবা গুজব ছড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছেন যে, ওই সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। রুদ্র নামের একজনের কাছ থেকে তথ্যটা পেয়েছেন।
র্যাবের মিডিয়া পরিচালক বলেন, রুদ্র সম্পর্কে নওশাবা র্যাবের কাছে দাবি করেছেন যে, গত ৩ আগস্ট শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় রুদ্রর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সে রাজধানীর একটি স্কুলে পড়ে। তিনি রুদ্রর কাছ থেকেই আন্দোলনের ব্যাপারে বিভিন্ন খোঁজখবর নিতেন। আর শনিবারের গুজবের তথ্যগুলো রুদ্রই তাকে জানিয়েছে বলে দাবি করেছেন নওশাবা। মুফতি মাহমুদ খান বলেন, তথ্যটি অন্যের কাছ থেকে শুনলেও নওশাবা এমনভাবে অভিনয় করে ফেসবুকে বিষয়টি জানিয়েছেন যে, ঘটনাস্থলের আশেপাশেই তিনি ছিলেন। সম্পাদনা: মোহাম্মদ রকিব হোসেন