স্বপ্না চক্রবর্তী: বাসচাপায় ২ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় চলমান ছাত্র আন্দোলনের পাশাপাশি পরিবহন ধর্মঘটের ফলে অর্থনীতিতে আবারও মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। তারা বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিশেষ করে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি এবং রেমিটেন্স প্রবাহ মন্দা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। ঠিক সেই সময় এ ধরণের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি কোনো ভাবেই কাম্য হতে পারে না।
গতকাল রবিবার দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা। এসময় একটি লিখিত বক্তব্যে এফবিসিসিআই এর সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) বলেন, বর্তমান আমদানি-রপ্তানি পরিস্থিতি, কর্মসংস্থান, স্থিতিশীলতার বিষয়কে বিবেচনায় রেখে যে কোনো কর্মসূচী পরিচালনা করা প্রয়োজন। বিশেষ করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি সমুন্নত রাখা, রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখতে, বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে আমরা বিভিন্নভাবে উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা নিয়েছি। এ পরিস্থিতিতে পরিবহন ধর্মঘট বিনিয়োগ সম্ভাবনা এবং দেশের ভাব মূর্তির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আমরা মনে করি।
আন্দোলনের বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে সমর্থন দিয়ে সরকার ছাত্রদের সমস্ত দাবী সুরাহা করার জন্য সম্ভাব্য বেশকিছু দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আইন প্রণয়নসহ আরো কঠোরভাবে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিলেও একটি মহল এ বিষয়টি নিয়ে জল ঘোলা করার চেষ্টা করছে। যা কোনো ভাবেই কাম্য না।
তিনি বলেন, আমরা ব্যবসায়ী সমাজ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করে এমন কোনো ধরণের ধর্মঘট বা আন্দোলনকে সমর্থন করিনি এবং আগামীতেও করবো না। ছাত্র আন্দোলন এবং পরিবহন ধর্মঘটের ফলে যান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ বিঘিœত হওয়ায় মূল্যস্ফীতির হার আবারও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রামসহ অন্যান্য বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কোরবানীর ঈদের পূর্বে এ ধরণের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করলে দেশের সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, সহ-সভাপতি মোঃ মুনতাকিম আশরাফ এবং পরিচালকসহ বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম এবং এফবিসিসিআইয়ের বিভিন্ন সদস্য সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: মোহাম্মদ রকিব হোসেন