আশিক রহমান : দুর্বৃত্তের হামলার পর এখন তিনি ও তার পরিবার অনিরাপদ বোধ করছে বলে জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বাসায় হামলার পর আমরা এখন নিরাপত্তাহীন, অনিরাপদ বোধ করছি। তবে ঘটনার পর থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে একটি অভিযোগ করেছি, ওইদিন রাতেই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এসেছিল। তারা আমাদের আশ্বস্থ করেছে, আশা করছি নিরাপত্তা পাব।
তিনি আরও বলেন, দুর্বৃত্তরা আমাদের হুমকি-ধমকি দিয়েছে, দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করেছে, ঢুকতে পারলে হতাহতের ঘটনা ঘটত। দুর্বৃত্তরা আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেছে। কী ধরনের গালিগালাজ করেছে তা পুরোপুরি শুনিনি। তবে যেটুকু শুনলাম, দেখিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে তারা।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এই দেশটাকে স্বাধীন করার পেছনে আমরাও ইতিবাচক ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছি। দেশ এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পজেটিভ ভূমিকা পালন করছি। আমাদের উপর হামলা হবে ভাবিনি কখনো। যে নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাঙালিরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি, সেই নিরাপত্তাহীনতায় যদি আমাদেরও পড়তে হয়, এ তো ভয়াবহ ও অকল্পনীয় ব্যাপার।
তিনি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া ব্লুম বার্নিকাট আমাদের ভালো বন্ধু। তার সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেছিলাম বাসায়। বার্নিকাট বাসা থেকে নেমে যখন গাড়িতে উঠছিলেন তখন একদল দুর্বৃত্ত তার গাড়িতে হামলা করে। আমার ছেলের উপরও হামলা করে তারা। রাষ্ট্রদূতের গাড়ি চালক দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে দেখে দুর্বৃত্তরা তার গাড়ি ধাওয়া করে ইটপাটকেল ছুঁড়ে। এরপর তারা আমার বাড়িতে আক্রমণ করে। নিচে থেকে ইটপাটকেল ছুড়ে আমার বাড়ির দুতলার সব জানালা ভেঙ্গে ফেলে। দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে।
তিনি আরও বলেন, দুর্বৃত্তরা সংখ্যায় আনুমানিক ৩০-৪০ জন হবে। কে বা কারা এই হামলা করেছে তা বলা অত্যন্ত দুরূহ। এমন একটি হামলা হতে পারে তা কখনো আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। আমার ছেলের উপর কারও আক্রোশ আছে কিনা আমি জানি না। এখানে কোনো রাজনৈতিক ইন্ধন আছে কিনা তাও জানি না।