আসাদুজ্জামান স¤্রাট: সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন ধরনের কল্যাণ সুবিধা বাড়াতে সংসদে উত্থাপিত ‘বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০১৮’ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সংসদের আসন্ন অধিবেশনে বিলটি পসের জন্য সংসদে উত্থাপিত এবং পাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিলটি পাস হলে চাকরিরত অবস্থায় কোনও কর্মচারী মারা গেলে তার পরিবারকে বীমা বাবদ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর সর্বশেষ প্রাপ্ত মাসিক মূল বেতনের হারে ২৪ মাসের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ বা অনূর্ধ্ব ১ লাখ টাকা দেওয়া হবে। ২০০৪ সালের এ সংক্রান্ত আইন সংশোধনের জন্য বিলটি আনা হয়।
বিদ্যমান আইনে কল্যাণ বোর্ডে সরকারি কর্মচারীদের চাঁদা নির্ধারিত ছিল। সেখানে বলা ছিল, মাসিক চাঁদা হিসাবে প্রত্যেক কর্মচারীকে তার বেতনের শতকরা একভাগ অথবা পঞ্চাশ টাকা, এর মধ্যে যা সর্বনিম্ন, বেতন থেকে কেটে কর্মচারী কল্যাণ তহবিলে জমা করতে হবে। প্রস্তাবিত আইনেও এই ধারার সংশোধন করা হয়েছে। এখানেও সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত হারে চাঁদা দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড আইন-২০০৪ এ অর্থের পরিমাণ নির্ধারিত থাকায় যে যে স্থানে অর্থের পরিমাণ উল্লেখ রয়েছে সেসব স্থানে সংশোধন আবশ্যক হয়ে পড়ে। তাছাড়া অর্থের পরিমাণ সময়োপযোগী করার প্রয়োজনে বারবার আইন সংশোধন পরিহার করার সুবিধার্থে এবং টাকা অংক সময়ে সময়ে পরিবর্তন সহজ করতে আইন সংশোধনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান এর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য এ. বি. এম ফজলে করিম চৌধুরী, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, খোরশেদ আরা হক এবং জয়া সেন গুপ্তা অংশগ্রহণ করেন।