শিমুল মাহমুদ : নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ক্ষমতায় বসে প্রধানমন্ত্রী ভুত দেখছেন। তিনি ছায়াকে কায়া মনে করছেন, কায়াকে ছায়া মনে করছেন। আমাদের আজকে শপথ করা দিন আমরা রাষ্ট্র্রটাকে মেরামত করতে চাই। গতকাল সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ আয়োজিত শিক্ষার্থীদের উপর নিপীড়নের প্রতিবাদ ও সংহতি সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার প্রধান বলেছেন তাদের সমস্ত দাবি মেনে নিয়েছেন। আমি জানতে চাই কোন দাবিটা মেনে নিয়েছেন ? আমরা জানি মন্ত্রিসভায় কারা কারা বসেন, সাদা,কালা, রাঙ্গা, ফরসা আমরা সবাইকে চিনি। এর আগের একবার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেখানে ফাঁসির বিধান বদলে দেওয়া হয়েছিল। নতুন বিধান কি করবেন আমাদের জানা হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, দশ বছরে শিশুকে কারা হামলা করেছে আমরা কি চিনি না ? কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থ্ াগ্রহন করা হয়নি। আমি অবিলম্বে হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক বলেন, যখন কোটাসংস্কারকারীরা রাস্তায় নামলো তখন সরকারের কিছুটা মাথা নত হলো। মান্না বলেন, সরকার প্রধান রাগের মাথায় বলেন আর অভিমানে বলেন, তিনি বলেছেন তোমাদের এতই যখন সমস্যা কোটাই বাতিল করে দিলাম। কিন্তু সবাই যখন বললেন কোটা তো বাতিল চাই নাই বাতিল করলেন কেন? সমস্ত কোটা কি বাতিল আপনি করতে পারেন? কোন জবাব নাই। ৩ মাস পর তার কথা বদলে গেল। তিনি বললেন কোটা আন্দোলন কেন করেন তা আমি নিজেই বুঝি না! তিনি যখন কোটা সংস্কার বুঝতে পারছেন না সেই সময় কোমল শিশুকিশোররা নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নামলো। তখন তার আবারো মাথা নত হলো।
মাহমুদুর রহমান বলেন, এই কিশোররা সবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, আমারা পরিবর্তন আনতে পারি। তারা রাস্তায় নেমে বুঝিয়ে দিল দোষটা মূল জায়গায়। মন্ত্রীর গাড়ির সাইসেন্স নাই। ড্রাইভারের লাইসেন্স নাই। বিজিবির, র্যাব, পুলিশ কারো গাড়ির লাইসেন্স নাই তাহলে লাইসেন্স বানাবে কে? ছাত্ররা বললো সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত আমরা রাষ্ট্র মেরামতের কাজ করছি।
তিনি আরো বলেন, সরকার প্রধান বলেছেন আমরা এই আন্দোলনকে অভিনন্দন জানিয়েছি। তবে এখানে তৃতীয় পক্ষের হাত দেখছি। তৃতীয় পক্ষ হচ্ছে একজন মা যিনি কাঠাল দিচ্ছে আর বলেছে, কাঠাল খাও নয়তো আন্দোলন করতে পারবে না। এরচেয়ে বড় তৃতীয় পক্ষ আর আমি দেখছি না।