ফয়সাল মেহেদী: ২০১৮ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) দেশের নন-লাইফ বীমা খাতে মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ হয়েছে ৯২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এর মধ্যে নিট প্রিমিয়াম সংগ্রহ হয়েছে ৫১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বাকি ৪১৬ কোটি ১ লাখ টাকা পরিশোধ করা পুনঃবীমা প্রিমিয়াম।
বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) মতে, নন-লাইফ বীমা খাতের প্রিমিয়াম সংগ্রহ সন্তোষজনক নয়। ২০১৭ সালের তুলনায় অধিক হারে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করতে হলে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিকে আরো বেশি পলিসি আনতে হবে। এছাড়াও বীমা আইনের বিধান পরিপালনের পাশাপাশি অস্বাভাবিক হারে কমিশন প্রদানের মাধ্যমে ব্যবসা সংগ্রহের অসুস্থ প্রতিযোগিতা রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। এর আগে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো মোট ২ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে। সে হিসাবে ২০১৮ সালের প্রথম প্রান্তিকে সংগ্রহ করা প্রিমিয়ামের পরিমাণ ২০১৭ সালে সংগৃহীত গ্রস প্রিমিয়ামে ৩২ শতাংশ।
আইডিআরএর তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে নন-লাইফ বীমা খাতের সংগ্রহ করা ৯২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার মধ্যে অগ্নি বীমায় সংগৃহীত প্রিমিয়াম ৪২৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। যা গ্রস প্রিমিয়ামের ৪৫.৯৯ শতাংশ। আর নৌ বীমা খাতে সংগৃহীত প্রিমিয়াম ২৯৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা, যা গ্রস প্রিমিয়ামের ৩২.১৫ শতাংশ।
এ ছাড়া মোটর বীমা খাতে সংগৃহীত প্রিমিয়ামের পরিমাণ ৯৯ কোটি ৬ লাখ টাকা, যা গ্রস প্রিমিয়ামের ১০.৬৮ শতাংশ। বিবিধ বীমা খাতে প্রিমিয়াম সংগ্রহের পরিমাণ ১০৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং যা গ্রস প্রিমিয়ামের ১১.১৮ শতাংশ।
এদিকে ২০১৮ সালের প্রথম প্রান্তিকে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো পুনঃবীমা বাবদ অগ্নি বীমায় ২৪০ কোটি ৮২ লাখ টাকা, নৌ বীমায় ৭২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, মোটর বীমায় ৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা এবং বিবিধ বীমায় ৯৭ কোটি ১২ লাখ টাকা প্রিমিয়াম পরিশোধ করে।