ইসমাঈল হুসাইন ইমু: নিহত দুই শিক্ষার্থীর ঘাতক বাসচালকের ফাঁসিসহ ৯ দফা দাবিতে গড়ে ওঠা ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় রাজধানীর ৯ থানায় ২৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় হাজার হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তবে মোট আসামির সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারলেও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে- এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে আট দিনের টানা আন্দোলনে পুলিশ ও ছাত্রলীগসহ সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের হামলায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে গত দুদিনে শুধু সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও ঝিগাতলাতেই দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া গত কয়েক দিনে আন্দোলনের খবর সংগ্রহকালে ধানম-ি এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৩ সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। সাংবাদিকদের ক্যামেরা ভেঙে ফেলা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ডিএমপি সূত্র জানিয়েছে, মামলাগুলোর মধ্যে পুলিশের মিরপুর ও উত্তরা বিভাগে ৩টি করে, ওয়ারী বিভাগে ২টি, রমনা ও মতিঝিল বিভাগে ৬টি করে মামলা হয়। এ ছাড়া শাহবাগ, তেজগাঁও, লালবাগ ও গুলশান বিভাগে একটি করে মামলা হয়েছে।
জানা গেছে, গত শনিবার ধানম-ি থানায় করা একটি মামলায় ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পরে রোববার এ থানায় আরো দুটি মামলা করা হয়েছে, যাতে ৭৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। উত্তরা থানায় তিনটি মামলা করা হলেও কতজনকে আসামি করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শাহবাগ থানায় একটি মামলার পাশাপাশি রোববার ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই কুর্মিটোলায় জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ছাড়া আহত হন বেশ কয়েকজন। নিহত শিক্ষার্থীরা হলো শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মীম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব।