সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় শিক্ষকদের ভূমিকা জরুরি: পরিকল্পনামন্ত্রী
সাইদ রিপন: পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় শিক্ষকদের ভূমিকা জরুরি। শিক্ষকরা হলো মানুষ গড়ার কারিগর। প্রাচীন পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম পেশা হচ্ছে শিক্ষকতা। এজন্য মহান এ পেশার মানুষদের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সৎ, শিক্ষিত ও জ্ঞানী মানুষ তৈরি করতে হবে। গতকাল কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার সকল পর্যায়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে শিক্ষার মান উন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে সরকার কাজ করছে। শিক্ষকরা যারা আগামীর জন্য মানুষ সৃষ্টি করেন তাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। একজন শিক্ষকই পারেন একজন সুন্দর ও জ্ঞানী মানুষ তৈরী করতে। মানুষ যদি জ্ঞানী না হয় এবং জ্ঞান সমৃদ্ধ না হয় তাহলে সমাজের কোন কাজে আসতে পারেনা। সমাজের ভাল কাজ করার জন্য শিক্ষকদের প্রয়োজন। জাতির ভবিষ্যত শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে আর সেটা করবে একজন শিক্ষক। সমাজে বিশৃঙ্খলা পরিবেশ ও অরাজকতা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সেটা রোধ করাও শিক্ষকদের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, একটি উন্নত দেশ ও জাতি গঠনে শিক্ষার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের দিকে খেয়াল করলে আমরা দেখতে পাই, যে দেশের শিক্ষার অবকাঠামো ও সামগ্রিক পরিবেশ যত উন্নত, সে দেশ ও জাতি হিসেবে তারা ততো বেশি উন্নত ও স্বয়ংসম্পূর্ন। বর্তমানে দেশের প্রেক্ষাপটে জঙ্গিমুক্ত, মাদকমুক্ত, সমাজ গঠনেও শিক্ষকদের অনেক ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষকরাই পারেন একটি সমাজকে সুন্দর ও ছন্দময় করে তুলতে। বর্তমান সরকার শিক্ষার উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক এবং অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা বছরের প্রথমদিনই নতুন বই পাচ্ছে। বিশ্বের অন্য কোন দেশে বিনামূল্যে বই বিতরনের নজির নেই। শিক্ষকদের দুর্দশার কথা শুনে প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২৬ হাজার ১৯২টি স্কুলকে জাতীয়করন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তত্বাবধায়নে ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের স্কুলগুলোও প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রশাসনিক সংস্কারসহ মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দিয়ে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় অভাবনীয় পরিবর্তন এনে দিয়েছে। সম্পাদনা: ফাতেমা আহমেদ