আশিক রহমান: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জন্য জীবনভর লড়াই-সংগ্রাম করে গেছেন। জনগণের কল্যাণে কখনো কারও সঙ্গে অন্যায় আপোস করেননি। তিনি আমাদের অনেককিছু দিয়ে গেছেন, অনেককিছু করারও ছিল। কিন্তু কিছু জঘন্য মানুষ জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বর্তমান উন্নয়ন-অগ্রগতি আমরা বহু আগেই অর্জন সম্ভব হতো বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর শূন্যতা পূরণ কখনো সম্ভব নয়। হাজার বছর পর যদি কেউ আসেন সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু এখন তার অভাব পূরণ করার নয়। বঙ্গবন্ধুর মতো আরেকজন নেতা পাওয়ার প্রত্যাশা মানুষ করে। কিন্তু তা যে এত সহজ নয়, সেটাও তারা জানে।
তিনি আরও বরেন, শেখ হাসিনা এখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছেন। জাতির জনকের স্বপ্ন, তার ভবিষ্যৎ, তার ভিশন-মিশন, সমাজ সম্পর্কে ধারণা, মানুষের কল্যাণ চিন্তা-ভাবনা, জনসম্পৃক্ততা জনকের প্রায় সবগুলো গুণই জননেত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু সম্পূর্ণতা কেবল বঙ্গবন্ধুর কাছেই সম্ভব। তবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের জন্য শেখ হাসিনাই এখন অদ্বিতীয়।
এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, নেলসন ম্যান্ডেলাকে আমরা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তুলনা করতে পারি। তিনি সাতাশ বছর জেল খেটেছিলেন নাগরিক অধিকার, স্বাধীনতা, বৈষম্যের বিরুদ্ধে জেল খেটে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গেও তুলনা করা যায় আমাদের জনককে। কারণ তিনি একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মহাশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তুলনা করতে পারি খুব কম সংখ্যক মানুষকেই। বঙ্গবন্ধু আপন মহিমায় ভাস্বর। তিনি আমাদের জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ট্র্যাজেডি হলো যে মানুষের জন্য তিনি এতকিছু করলেন, কিছু জঘণ্য ব্যক্তি নৃশংসভাবে স্বপরিবারে হত্যা করে তাকে। এই জঘণ্য হতাকা- আমাদের পিছিয়ে দেয় অনেক দূরে। রাষ্ট্র ভুল পথেও পরিচালিত হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে বাংলাদেশকে সঠিক পথে পরিচালনার চেষ্টা করছেন। যত আবর্জনা আছে দূর করার প্রাণান্তর চেষ্টা তার মধ্যে রয়েছে।