‘চামড়া ব্যবসায়ীদের প্লট ও সিইটিপির নির্মাণ খরচ এক সঙ্গে দিতে হবে’
স্বপ্না চক্রবর্তী: জমির মূল্য এবং সিইটিপির নির্মাণ খরচ এক সাথে পরিশোধ করে সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে বরাদ্দপ্রাপ্ত প্লট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, ওষুধ শিল্পের জন্য বিসিক যে এপিআই শিল্প পার্ক তৈরি করছে, সেখানেও উদ্যোক্তারা একই সাথে প্লট ও সিইটিপির ব্যয় পরিশোধ করছেন। চামড়া শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য এর ব্যতিক্রম কোনো নিয়ম চালু করা সমীচীন হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সোমবার শিল্পমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চামড়া শিল্পের বিভিন্ন সমস্যা এবং তার সমাধানের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সাথে আয়োজিত বৈঠকে সভাপতিত্বকালে শিল্পমন্ত্রী আজ এসব কথা বলেন। এসময় মন্ত্রী জানান, সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের (সিইটিপি) নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে ৯৮ শতাংশ স¤পন্ন হয়েছে। বর্তমানে তরল বর্জ্য পরিশোধনে সিইটিপি যথাযথভাবে কাজ করছে। শিল্পনগরীর রাস্তাঘাট মেরামতে বিসিক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে মেরামতের কাজ সম্পন্নের পাশাপাশি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে বলে সভায় তথ্য প্রকাশ করা হয়।
এসময় চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে দ্রুত কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সংগঠনের নেতারা বলেন, আসন্ন কোরবানীর ঈদে শিল্পনগরীতে বর্জ্যরে পরিমাণ বাড়বে। এগুলো ব্যবস্থাপনায় এখন থেকেই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। ট্যানারি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে শ্রমিকদের সচেতন করতে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেয়া হবে বলে তারা উল্লেখ করেন। তারা জানান, চামড়া শিল্প বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিখাত। ২০২১ সাল নাগাদ এ খাতে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এটি অর্জনের জন্য কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে উন্নতি ঘটাতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে শুধুমাত্র প্লটের মূল্য পরিশোধ করে জমি রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দিতে শিল্পমন্ত্রীর নির্দেশনা কামনা করে ব্যবসায়ীরা চামড়া শিল্পে ব্যবহৃত কেমিক্যাল আমদানি খরচ কমাতে ‘সেন্ট্রাল বন্ডেড ওয়্যার হাউজ’ সুবিধা চান। একই সাথে তারা যেসব ট্যানারির নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে, সেগুলোর অনুকূলে পাওনা ক্ষতিপূরণের টাকা দ্রুত ছাড়ের দাবি জানান। এর জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, কেমিক্যাল আমদানির ক্ষেত্রে ‘সেন্ট্রাল বন্ডেড ওয়্যার হাউজ’ সুবিধা দেয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বরাবর সুপারিশ করা হবে। তিনি শিল্প উদ্যোক্তাদের অন্যান্য দাবি পূরণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনার আশ^াস দেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্, বিসিক চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহ. ইফতিখার, বিএসটিআই এর মহাপরিচালক সরদার আবুল কালাম, বাংলাদেশ ফিনিস লেদার, লেদার গুডস্ অ্যান্ড ফুট ওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএলএফইএ) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমদে মাহিন, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহিন আহমেদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: ফাতেমা আহমেদ