স্বপ্না চক্রবর্তী: বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানী লিমিটেডের আওতাধীন হবিগঞ্জ গ্যাস ফিল্ডের ১নং কূপ থকে ১৬মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে। এর ফলে দেশের অভ্যন্তরীন গ্যাস সংকট অনেকটাই কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল সোমবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলা হয়, ওয়ার্কওভার করে গ্যাস ক্ষেত্রের নি¤œস্তর থেকে দৈনিক ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন করে গত রোববার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা শুরু হয়েছে। যদিও এর আগে বিজিসিএল এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল এই কূপ থেকে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। পরীক্ষামূলক অবস্থায় থেকে উত্তোরণের পরেই এটি করা যাবে বলে জানান কূপ পরিচালনায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ গ্যাস কোম্পানী লিমিটেড (বিজিসিএল) এর প্রকল্প পরিচালক মীর আশরাফ। তিনি আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, চলতি মাসের ২৪জুলাই বাপেক্সের একটি বিশেষ কারিগরি দল পুরোনো কূপটি থেকে গ্যাসের সন্ধান পায়। এই কূপ থেকে প্রতিদিন ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রীডে যুক্ত করার সম্ভাবনা থাকলেও এখন পরীক্ষামূলকভাবে ১৬মিলিয়ন গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে। কিছুদিন গেলে আমরা এখান থেকে আরও কি পরিমান গ্যাস উত্তোলন করতে পারবো তা বলা যাবে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ মে এই কূপে ওয়ার্কওভারের কাজ শুরু করে একটি বিশেষ কারিগরি দল। ২মাস ধরে ওয়ার্ক ওভার শেষে ২৪ জুলাই কূপের অনেক নিচের স্তরে নতুন গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়।
এই কূপের ওয়ার্কওভারের কাজে নিয়োজিত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানী লিমিটেড (বাপেক্স) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম রুহুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এটি অনেক পুরানো একটি কূপ। আমাদের বিশেষ কারিগরি কমিটির মাধ্যমে এই কূপটিতে নতুন করে খনন কাজ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, হবিগঞ্জ-১ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছিল ১৯৬৩ সালে। কিন্তু ২০১২ সালে এ কূপ থেকে গ্যাসের পরিবর্তে পানি আসতে শুরু করে। তাই এটিকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী সময়ে নতুন গ্যাসের মজুদ অনুসন্ধান করতে হবিগঞ্জ ১ নম্বর কূপ ও সিলেটের কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্রের পরিত্যক্ত কূপে ওয়ার্কওভার কাজ শুরুর উদ্যোগ নেয় বিজিসিএল ও বাপেক্স। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।