সুজন কৈরী: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ২০২ জোড়া বিপন্ন পাখি ও বণ্যপ্রাণী উদ্ধার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর এবং ঢাকা কাস্টম হাউস। সোমবার রাতের দিকে বন্যপ্রণীগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে সেগুলো বন কর্তৃপক্ষের জিম্মায় দেয়া হয়।
শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক সহিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শুল্ক গোয়েন্দার এয়ারফ্রেইট সার্কেল, ঢাকা কাস্টম হাউসের প্রিভেন্টিভ ইউনিট ও এয়ারফ্রেইট ইউনিটের যৌথ অভিযানে ১৭০ জোড়া লাভ বার্ড, ৩ জোড়া বেবি প্যারেট, ৩ জোড়া কোকাটেল (কাকাতুয়া), ১০ জোড়া কনুর, ৩ জোড়া ময়ুর, ১ জোড়া এরা এ্যারোনা, ৫ জোড়া গ্রীন উইং প্যারাকিট, ২ জোড়া এ্যারাউনা, ২ জোড়া বাজ্রিগার, ১ জোড়া লামুর র্যাবিট ও ২ জোড়া মারমুস র্যাবিট উদ্ধার করা হয়। পরে বন্যপ্রাণীগুলো বন কর্তৃপক্ষের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, গত রোববার দক্ষিণ গোড়ানের ইনফো বীজ ইন, ভাটারার বিডি ইনোভেটিভ, উত্তরা এলাকার সজীব এন্টারপ্রাইজ নামক তিনটি প্রতিষ্ঠান ২৩৫-৭৬৫১-৪৫৪৬, ২৩৫-৬৮০৬-৩৭৩০ ও ১৫৭-৩৮৮৫-৮৮৮৬ এই তিনটি এয়ারওয়ে বিল নম্বরের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এই পাখি ও বণ্যপ্রাণীগুলো আমদানি করে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক কনভেনশন (সিআইটিইএস) অনুযায়ী বিপন্ন তালিকাভুক্ত প্রাণীদের আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। ডেট্রিমেন্টাল রিপোর্ট ও বণ্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী জীবন্ত পশু-পাখি আমদানিতে বন অধিদপ্তরের অনাপত্তি (ঘঙঈ) ব্যতিরেকে আমদানি করার কারণে উক্ত চালানসমূহ আটক করা হয়। আটককৃত পাখি ও বণ্যপ্রাণীর আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৪৪ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, কার্গো ভিলেজে অতিরিক্ত গরমে পাখি ও বণ্যপ্রাণীগুলো মুমূর্ষু হয়ে যাওয়ায় আমদানিকারক, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ, লাইভস্টক কোয়ারেন্টাইন কর্তৃপক্ষ, বন অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমসসহ সকলের মতৈক্যের ভিত্তিতে পাখি ও বণ্যপ্রাণীগুলোকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের খাঁচায় সংরক্ষণের জন্য বন অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষের জিম্মায় দেয়া হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা সহিদুল বলেন, এ ঘটনায় আমদানিকারকের বিরুদ্ধে শুল্ক আইনসহ অন্যান্য আইন লংঘনের কারণে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।