তরিকুল ইসলাম সুমন: পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রতিবছরের মতো এবারও যাত্রী সামাল দিতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিআইডব্লিউটিএ এবং লঞ্চ মালিক সমিতি। এক্ষেত্রে ১৫ আগস্ট লঞ্চের ডেকের যাত্রীদের জন্য টিকিট বিক্রি এবং ১৯ আগস্ট থেকে স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হবে। পাশাপাশি ১৮ আগস্ট থেকে রাতে সকল ধরনের বালুবাহী নৌ যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটএ) সূত্র জানান, ঈদে ঘরমুখী মানুষের চাপ সামাল দিতে নতুন টারমিনাল ভবনের লঞ্চের কাউন্টারগুলো থেকে ডেকের যাত্রীদের টিকিট বিক্রি শুরু করা হবে। এছাড়াও যাতে করে পন্টুনে অতিরিক্ত যাত্রী যেতে না পারে এজন্য টার্মিনালগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার এবং বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোজার ঈদের মতোই সাত দিন আগ থেকেই ডেকের যাত্রীদের জন্য টিকিট বিক্রি চালু করার জন্য মালিকদের বলা হয়েছে। তবে সমস্যা হলো কোন লঞ্চে কতো যাত্রী নেওয়া হবে তার সঠিক কোনো হিসাব নেই। অতিরিক্ত ভাড়া ও ওভারলো না কারার বিষয়েও লঞ্চ মালিকরা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ও যাত্রী পরিবহন সংস্থা (যাপ) এর সদস্য সচিব সিদ্দিকুল ইসলাম পাটোয়ারী জানান, এখনো শিডিউল ঠিক না হওয়ায় কেবিনের আগ্রিম টিকিট দেওয়া নিয়ে জটিলতা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অনলাইনে টিকিট বিক্রি দুএকদিনের মধ্যেই শুরু করবে। সাধারণ কেবিন বিক্রি শুরু হলেও ভিআইপি কেবিনের এখনও বুকিং শুরু হয়নি।
তিনি আরো জানান, লঞ্চের ডেকের যাত্রীদের জন্য সদরঘাটে স্থাপিত টিকিট কাউন্টারে টিকিট থাকবে। ঈদের সাত দিন আগের থেকে সব কাউন্টার খোলা হবে। অতিরিক্ত যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে ঈদ-উল-আযহার তিনি দিন থেকে স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হবে।
ঈদ পালন হবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, আরিচা এবং শিমুলিয়ায় আমাদের চারটি উদ্ধারকারী জাহাজ মোতায়েন করা হবে।
সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি বৈঠক হয়েছে এতে সভাপতিত্ব করেণ নৌ মন্ত্রী শাজাহান খান। এ সময়ে তিনি মালিকদের লঞ্চের চালক, মাষ্টার ও অন্যান্য কর্মচারীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ে এবং নদীর মাঝপথে নৌকাযোগে যাত্রী উঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্পীডবোটে চলাচলের সময় যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরিধানের নির্দেশ দেন এছাড়াও সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, রাতের বেলায় সকল প্রকার মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। সম্পাদনা: আনিস রহমান