মতিনুজ্জামান মিটু: দেশে শুরু হয়নি ব্রেন টনিক বহুবিধ তৈরীসহ ঔষধি ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সম্ভাবনাময় আঁশ ফলের বাণিজ্যিক চাষ। বাংলাদেশের সব জেলাতেই চাষের সম্ভাবনা থাকলেও সবে নাটোর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে এ ফলের চাষ শুরু হয়েছে। আবাহমান বাংলায় এফল দীর্ঘকাল ধরেই কমবেশি উৎপাদন হয়ে থাকে। এদেশে ইংরেজি লগণ বা বাংলার আঁশফলের কোনো প্রচলিত জাত নেই। তবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এবং বাউ আঁশ ফলের চারটি জাত উদ্ভাবন করেছে। এ জাতগুলো হচ্ছে; বারি আঁশফল-১ এ বারি আঁশফল-২ এবং বাউ আঁশফল-১ ও বাউ আঁশফল-২। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইং সুত্রে জানা গেছে, এটি একটি আমিষ ও শর্করা সমৃদ্ধ সুস্বাদু ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। বাংলাদেশে সাধারনত ফল হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এটি উদারাময় নিবারক ও ক্রিমিনাশক। চীন দেশের লোকেরা আঁশফল বা লগণকে বলকারক বলে মনে করেন। ইন্দো-চীনে শুকনো আঁশফল থেকে ব্রেন টনিক তৈরী করা হয়। দেশে মূল্যবান ও সম্ভাবনাময় এই ফলের গবেষণা আছে এবং ইতোমধ্যে জাত উদ্ভাবনও হয়েছে। তবে এখনও আঁশফল চাষ সম্প্রসারণের কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়না। দেশে কি পরিমাণ আঁশফল উৎপাদন হয় তার কোনো আলাদা কোনো খতিয়ানও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে হিসাবে নেই।