আশিক রহমান: বিদ্যমান সড়ক মটরযান আইনের দুর্বলতাগুলো অনুমোদিত খসড়া আইনের এড্রেস করা হয়েছে বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজিব-উল আলম। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিদ্যমান সড়ক মটরযান আইনে যে দুর্বলতাগুলো ছিল বা আছে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত খসড়া আইনে তা এড্রেস করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়। সড়ক পরিবহনে যে ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি এখন বিদ্যমান, নতুন আইনটি যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয় তাহলে এই নৈরাজ্যের অবসান হবে। কিন্তু আইনের বিধানের চেয়ে যেটা আরও বেশি জরুরি তা হচ্ছেÑ আইনের বিধানগুলো কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা। বলা হচ্ছে, পর্যায়ত্রুমে বারো পয়েন্ট কাটা গেলে চালকদের লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, যদি লাইসেন্স ছাড়াই দিনের পর দিন, বছরের পর বছর গাড়ি চালাতে পারবেন তাহলে তো এই পয়েন্টের কোনো মূল্য নেই। ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল যদি সড়কে চলাচল বন্ধ না হয় কিংবা লাইসেন্সবিহীন চালকদের দৌরাত্ম্য বন্ধ না হয় তাহলে আপনি যত আইনই করেননি কেন, তার সুফল কখনো পাওয়া যাবে না। তবে যে বিধানগুলো করা হয়েছে তা স্বাগত জানাই।
এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার তানজিব-উল আলম বলেন, খসড়া আইনটি যে এত তাড়াতাড়ি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে তা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণেই। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাফল্যই বলতে পারি এটা।