মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় দক্ষিণ সিটির ৬টি পশুর হাট
শাকিল আহমেদ: আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর ২২ টি স্থানে বসছে অস্থায়ী পশুর হাট। এর মধ্যে উত্তর সিটিতে ৯টি ও দক্ষিণে ১৩টি হাট বসানো হবে। দক্ষিণের ৭টি হাটের ইজারা সম্পন্ন হলেও বাকি ৬টির জন্য সিদ্ধান্ত চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোারেশন (ডিএসসিসি)।
ডিএসসিসির আওতাধীন এলাকায় ১৩টি পশুর হাটের মধ্যে ৭টি হাটের ইজারা সম্পন্ন হয়েছে ৩ কোটি ৩৯ লাখ ২৭ হাজার ১৫০ টাকায়। এই ৭টি হাটের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১০ জুলাই ৬টি হাটের ইজারা সম্পন্ন হয় ২ কোটি ৭০ লাখ ৯৭ হাজার ১৫০ টাকায়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৯ জুলাই একটিতেও কোন দরপত্র পাওয়া যায়নি, সবশেষ ৩১ জুলাই মেরাদিয়া হাটের ইজারা হয় মাত্র ৬৮ লাখ ৩০ হাজার টাকায়।
এদিকে বাকি ৬টি হাটে কোন দরপত্র জমা না পড়ায় সিদ্ধান্ত চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আব্দুল মালেক। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের ৭টি হাটের ইজারা সম্পন্ন হয়েছে, সবশেষ গত ৩১ জুলাই মেরাদিয়া হাটটির ইজারা হয়েছে। কিন্তু বাকি ৬টি হাটে ৩ বার দরপত্র আহ্বান করলে কোন সিডিউল জমা পড়েনি। তাই সিদ্ধান্ত চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আজ একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। খুব শিগগিরি এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবো বলে আশা করছি।
যে ৬টি হাটে কোন দরপত্র জমা পড়েনি এগুলো হলো: ব্রাদার্স ইউনিয়ন পশুর হাট, ধুপখোলা, ধনিয়া, আরমানিটোলা, কমলাপুর স্টেডিয়ামের পাশের খালি জায়গা, সাদেক হোসেন খোকা মাঠ। এই হাট ছয়টিতে বরাবারের মত স্থানীয় লোকদের দিয়ে খাস আদায় করা হতে পারে বলে জানান ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগ। তবে অনেকের ধারণা সিন্ডিকেটের কারণে এই হাটগুলোতে কোন দরপত্র জমা পড়েনি। এতে ডিএসসিসি মোটা অঙ্কের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে একাধিক ইজারাদার অভিযোগ করে বলেন, হাট ইজারা দেয়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩টি দরপত্র জমা পড়তে হয়। সাধারণ ইজারাদাররা দরপত্রই কিনতে পারেননি। দু-একজন কিনলেও ভয়ে জমা দিতে পারেননি। ফলে প্রভাবশালীচক্র পছন্দমতো দর দিয়ে হাটগুলো ইজারা নিয়েছে। আবার বাকি ৬টি হাটের ক্ষেত্রে কোনো দরপত্রই জমা পড়েনি। সেগুলো অতীতের মতো ঈদের আগ মুহূর্তে দলীয় লোকদের দিয়ে পরিচালনা করা হতে পারে।