চলতি অর্থবছরে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ৪৪শ কোটি ডলার
সোহেল রহমান: চলতি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৪ বিলিয়ন (৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা) ডলার। এটা গত অর্থবছরের চেয়ে ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলার বেশি। সমাপ্ত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪১ বিলিয়ন (৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার) ডলার। এর বিপরীতে মোট রফতানি আয় হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৯৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ কোটি ডলার কম। তবে লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত না হলেও রফতানি প্রবৃদ্ধির হার হচ্ছে ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
গতকাল বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ‘২০১৮-১৯ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ’ সংক্রান্ত এক সভায় রফতানির এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সভায় বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) তপন কান্তি ঘোষ এবং এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ৪৪ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পণ্য খাতে ৩৯ বিলিয়ন ডলার ও সেবা খাতে ৫ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত অর্থবছর রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪১ বিলিয়ন ডলার, এটা প্রায় অর্জিত হয়েছে। রপ্তানির এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালে দেশের মোট রপ্তানি ৬০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আমাদের রফতানির সিংহভাগ আসে তৈরী পোশাক খাত থেকে। গত অর্থবছর এ খাতে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৩০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর বিপরীতে রফতানি হয়েছে ৩০ দশমিক ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ বছর তৈরী পোশাক রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩২ বিলিয়ন ডলার।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার বর্তমানে ২৭টি পণ্য রফতানি খাতে বিভিন্ন হারে নগদ আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। রফতানিকারকদের উৎসাহিত করতে এবার আরো ৯টি পণ্য রফতানিতে ১০ শতাংশ হারে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
নতুন পণ্যগুলো হচ্ছেÑ হিমায়িত সফট্সেল কাঁকড়া, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য ও ওষুধের কাঁচামাল, সিরামিক দ্রব্য, গ্যালভানাইজড সিট বা কয়েল, ফটোভলটাইক মডুল, রেজার ও রেজার ব্রেডস, ক্লোরিন, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, কস্টিক সোডা এবং হাইড্রোজেন পার অক্সাইড।