দেবব্রত দত্ত: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ডাকা আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। একই দাবিতে আগামী শনিবারের (১১ আগস্ট) মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। আর তা না হলে রোববার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা এ ঘোষণা দেন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অন্তত ৪০ জন হামলার শিকার হয়েছেন দাবি করে সাংবাদিক নেতারা বলেন, ‘হামলা করে, হত্যা-নির্যাতন চালিয়ে সাংবাদিক সমাজকে স্তব্ধ করা যাবে না। গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করে কোনও স্বৈরশাসকের শেষ রক্ষা হয়নি।’ বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমীন গাজী বলেন, ‘এ সরকার সাংবাদিকদের কলম স্তব্ধ করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চায়। সরকারের সেই স্বপ্ন পূরণ হবে না। সরকার কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যেভাবে প্রতারণা করেছে, সেভাবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।’ সাংবাদিক সমাজ দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে যে লড়াই করছে, তা অব্যাহত থাকার ঘোষণা দেন তিনি। এম. আবদুল্লাহ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রীরা সন্ত্রাসীদের হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, তাদের হুকুমেই হামলা হয়েছে।’ সন্ত্রাসীদের আসকারা দেওয়ার পরিণাম ভালো হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহে রাজপথে ৪০ জন সাংবাদিকের রক্ত ঝরিয়ে, বিশ্বব্যাপী যে ধিক্কার কুড়িয়েছে, তাতে সরকারের লজ্জিত হওয়া উচিত।’
সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি দলের ক্যাডারদের বর্বরতায় আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন, অথচ এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা একদফার সংগ্রাম শুরু করলে কেউ রেহাই পাবে না।’ মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকদের রক্তাক্ত করে তথ্যমন্ত্রী চিঠি চালাচালির নাটক করেছেন। নাটক বন্ধ করে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, ডিইউজ’র সহ-সভাপতি শাহীন হাসনাত, ডিআরইউ’র সাবেক সহ-সভাপতি জিয়াউল কবীর সুমন প্রমুখ। সম্পাদনা: আনিস রহমান